সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজা থেকে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্তপাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৬৪৫ জনের লাশ উদ্ধার করাহলো।এর মধ্যে ৪৯০টি লাশ শনাক্তের পর তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।রোববার রাত ৮টা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরআগে রোববার রাত ৮টার দিকে রানা প্লাজার ৬ষ্ঠ তলার নিউ ওয়েভ টেক্সটাইলেরপেছনের অংশ থেকে চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়াগেছে। এরা হলেন সুইং অপারটের জাকিয়া (কার্ড নম্বর ৫৩৪৪) এবং জয়না (কার্ডনম্বর ১৩৩৮)। এই নিয়ে রোববার মোট ৫৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাত থেকেসকাল পর্যন্ত উদ্ধার করা লাশগুলো অধরচন্দ্র স্কুল মাঠে রাখা হয়েছে। সেখানেএখনও অনেক স্বজন প্রিয়জনের লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন।উদ্ধারকর্মীরাজানান, এখন যেসব লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই গলিত, অর্ধগলিত।ফলে লাশ শনাক্ত ও হস্তান্তর করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
উল্লেখ্য, ২৪ এপ্রিল (বুধবার) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড বাজারে যুবলীগনেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে।এতে ব্যাপক প্রাণহানীর ঘটনা ছাড়াও আহত ও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছেদুই হাজার ৪৩৭ জন শ্রমিককে।ভবন ধসে পড়ার দিন ওই ভবনের পাঁচটি পোশাককারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর আগের দিন ভবনটিতে ফাটল দেখাদিলেও তাদের জোর করে কাজে ঢোকানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রাণে বেঁচে যাওয়াশ্রমিকরা।
সাভারের মর্মান্তিক এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকসমালোচনার মুখে পড়ে দেশের পোশাকশিল্প। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সমালোচনায় মুখর হয়েছে। এমনকি বিদেশিক্রেতারা পোশাক কারখানার পরিবেশ ও মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশের সঙ্গেব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।