রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক ও সিদ্ধেশ্বরীতে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ওঅগ্নিসংযোগের ৫ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামআলমগীরকে ছয় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।রোববার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।মির্জাফখরুলের পক্ষে আদালতে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, খন্দকার মাহবুবহোসেন এবং এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নিজেনারেল মোমতাজউদ্দিন উদ্দিন ফকির।পরে ফখরুলের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, “পাঁচ মামলায় জামিনের পর মির্জা ফখরুলের মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা রইলো না।” এর আগে গত ২৮ এপ্রিল ফখরুলের জামিন চেয়ে করা আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করেন হাইকোর্টের বেঞ্চের এক বিচারপতি।ওইদিনদুপুরের পর ফখরুলের আইনজীবীরা বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীরনেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি করতে যান। এক পর্যায়ে ওই বেঞ্চের কনিষ্ঠবিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন আবেদনগুলো শুনতে বিব্রতবোধ করেন।এরপরআবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। পরে প্রধান বিচারপতি আবেদনটিশুনানির জন্য বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরেরবেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।
প্রসঙ্গত, মালিবাগ, মৌচাক ও সিদ্ধেশ্বরীতেপুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির ৩৮ জনকেন্দ্রীয় নেতাসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মীর নামে রাজধানীর পল্টন, শাহজাহানপুর ওরমনা থানায় ২ মার্চ এসব মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলাগুলোতেভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুবদলের সভাপতিমোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ছাড়াও আসামি করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জাআব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহআমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিসুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ৩৮ নেতাকে।
রমনা থানার এসআই আলী হোসেন বাদী হয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও এসআই আশফাক গাড়ি পোড়ানোর মামলা করেন।এ দুই মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরো সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে আসামি দেখানো হয়েছে।