রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনকে ঘিরে মহানগরীতে নির্বাচনের গরম বাতাস বইতে শুরু করেছে। মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ছক কষতে শুরু করেছেন আগ্রহীরা। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে নিজেকে মেলে ধরার পাশাপাশি দলের সমর্থন পাওয়ার জন্য জোর তদবির চালাচ্ছেন।
তবে মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন নিয়ে কোনো জটিলতা না থাকলেও বিএনপির মধ্যে কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে দেখা দিয়েছে বেশ মতপার্থক্য।
বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হতে ইচ্ছুক অনেকেই দলের ব্যানারে নির্বাচন করতে চাইলেও কেউ কেউ দলের সমর্থন না পেলেও এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার মতো কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মীই দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন।
বর্তমান সরকারের অধীনে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না- অনেক আগেই এমন ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকে, তাহলেও স্থানীয়ভাবে তারা প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত রাসিকের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কাউন্সিলর।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান টিটো জানান, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকলেও তিনি অংশ নিতে চান। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলগতভাবে হয় না। আমি আমার এলাকার মানুষের কথা ভেবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেব। তবে দল নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আরও বেশি সহজ হবে।’
রাসিকের ১৩নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা রবিউল আলম মিলু জানান, স্থানীয় মানুষ তাকে ভোট দিয়ে গতবার নির্বাচিত করেছে। এ কারণে দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকে, তারপরও তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। এরই মধ্যে তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলেও জানান তিনি।
২৩নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বজলুর রহমান জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয়ভাবে ভোট করেন না। এ কারণে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হলেও নির্বাচনে অংশ নিতে চান।
গত নির্বাচনে অংশ নিয়ে ১৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে পরাজিত প্রার্থী নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামান শরীফও নির্বাচনে অংশ নিতে চান।
তবে, রাসিকের ২৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মতিহার থানা বিএনপির সভাপতি আনসার আলী জানান, তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তবে দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে কঠোর থাকে, তাহলে তিনি প্রার্থী হবেন না।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন জানান, দল সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে বলে তিনি মনে করেন। সেই হিসেবে মেয়র পদে কেন্দ্রীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হবে। আর কাউন্সিলর পদে স্থানীয় বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।