একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ওআশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধট্রাইব্যুনাল-২। একই সঙ্গে এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকরা হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রতিবেদন আগামী ১২ মে ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুঈনুদ্দীনও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে আদেশের জন্য ২মে তারিখ ধার্য ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গত রোববার এ তারিখধার্য করেন।
ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোকলেছুর রহমান ট্রাইব্যুনালেবুদ্ধিজীবীদের হত্যার অভিযোগে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানেরবিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, এ মামলায়রাষ্ট্রপক্ষ যেসব নথি দাখিল করেছেন তা ট্রাইব্যুনাল যাচাই বাছাই করবেন এবংঅভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে ২ মে আদেশ দেবে।
রাষ্ট্রপক্ষগত ২৫ মে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টারের কাছে মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানেরবিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। রেজিস্টারের কার্যালয় ওইআনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনাল-২-এ পাঠায়।
ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষসাংবাদিকদের জানান, যেহেতু তাঁরা দুজনই একই ধরনের অপরাধ করেছেন, তাই তাঁদেরবিরুদ্ধে আলাদা করে অভিযোগ না এনে একসঙ্গে ১৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
মানবতাবিরোধীঅপরাধ তদন্ত সংস্থা ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মুঈনুদ্দীন ওআশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। গত বছরের ৯ অক্টোবর তা শেষ হয়।তদন্তে মুক্তিযুদ্ধকালে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যার সঙ্গে তাঁদেরসংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তদন্ত সংস্থা ১০ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলিরকার্যালয়ে জমা দেয়।