বুয়েটে স্নাতকোত্তরে ভর্তি

0
196
Print Friendly, PDF & Email

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পিএইচডি, এমফিল, এমএসসি ইঞ্জি/এম ইঞ্জি, এম আর্ক, এম ইউ আরপি ও স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বুয়েট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পাওয়া ব্যক্তিরা এখানে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। চলতি ভর্তি কার্যক্রমের কয়েকটি বিষয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে জিজ্ঞাসা-ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বুয়েটের সুনাম, শিক্ষার গুণগত মান ও ভর্তি পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের সদয় বিবেচনা কামনা করছি। ক. আবেদনপত্রের শর্তে বয়সের কোনো ঊর্ধ্বসীমা দেওয়া না থাকলেও কতিপয় বিভাগ বয়স্ক প্রার্থীদের বাদ দিয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে কোনো গৃহীত সিদ্ধান্ত থেকে থাকলে সেটা আগেই জানানো উচিত ছিল। খ. আবেদনকারীদের কেউ কেউ একই সঙ্গে একাধিক বিভাগে ইনস্টিটিউটে আবেদন করে থাকলেও একই দিন একই সময়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ফলে অনেকেই তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বিভাগ-ইনস্টিটিউটে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ মাসের মধ্যেই তাঁদের আরেকবার সেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। গ. পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কোনো কোনো বিভাগে (যেমন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এটা পরিহার করা দরকার। বুয়েট কর্তৃপক্ষকে উল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে ত্বরিত সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। মু. আবদুল মতিন শিকদার প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বুয়েট। বড় গাছ রক্ষা গাছ পরোপকারী বন্ধু। প্রাণীকুল বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন পায়, দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে পরিবেশকে সুন্দর রাখে, প্রাণীকুলের খাদ্যের প্রধান উৎস এই গাছ। এ ছাড়াও জ্বালানি, আসবাব, গৃহনির্মাণ, ওষুধ প্রদানসহ বহু কাজে গাছের দান অফুরান। ছায়া দেয়, বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে, ভূমির ক্ষয়রোধ করে এমনকি অনেক প্রাণী পাখির আবাসের স্থান করে দেয় প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারী ও ভারসাম্য রক্ষাকারী এই গাছ। একটি ৫০ বছরের বটগাছ মানুষের পৃথিবীতে কী কী দেয়, তা নিম্নরূপ—২৫ লাখ টাকার অক্সিজেন, মানুষের উপকারী জীবজন্তুর খাবার জোগায় ২০ হাজার টাকার, মাটির ক্ষয়রোধ করে ও উর্বরতা বাড়ায় দুই লাখ টাকার, বাতাসের আর্দ্রতা বাড়িয়ে বৃষ্টিপাতে সহায়তা জুগিয়ে দেয় তিন লাখ টাকার, বায়ুদূষণ ঠেকানোর জন্য সাশ্রয় হয় পাঁচ লাখ টাকার। গাছের দাম তো আছেই (কিশোরসমগ্রী দ্বিজেন শর্মা)। আবার পবিত্র বেদে একটি গাছকে কয়েকটি সন্তানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশদূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বিগ্নতা। বাংলাদেশও এসবের শিকার অন্যতম একটি দেশ। আর এর থেকে পরিত্রাণের উপায়গুলোর মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা, দূষণ-প্রক্রিয়ার উপাদানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, বন-জঙ্গল ধ্বংস না করা। সর্বোপরি গাছ, বন-জঙ্গল রক্ষা করা অন্যতম কর্তব্য। কিন্তু আমাদের চারদিকে তাকালে দেখতে পাই কীভাবে গাছ, বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বেঁচে থাকা এবং পরিবেশের জন্য এ এক অশনিসংকেত। তাই আমাদের চারপাশে যেসব বড় গাছ যেমন আম, জাম, কাঁঠাল, বট, অশ্বথ, পাকুড়, কদম, শিমুল, তেঁতুল, ছাতিম, নিম, ডুমুর ইত্যাদি রয়েছে, সেগুলোকে রক্ষার পাশাপাশি বেশি বেশি এসব বৃক্ষ রোপণ করা জরুরি। এসব গাছের পরিবেশগত উপকারিতা ছাড়াও ঐতিহ্য রয়েছে। যেমন আমাদের হাটবাজার, মেলা, রাস্তার মোড় ইত্যাদি এসব বড় বড় গাছ ঘিরেই গড়ে উঠেছে। অনেক স্থানের নামও রয়েছে এসব গাছের নামানুসারে। তাই যেসব গাছ যেখানে রয়েছে, কোনো প্রকার সামান্যতম অসুবিধা সৃষ্টি করলেও রক্ষার ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা দরকার। পাশাপাশি নতুন করে হাটবাজার, রাস্তার ধারে, রাস্তার মোড়ে, নদীর পাড়ে, প্রতিষ্ঠানে ফাঁকা জায়গায় অনেক বেশি বেশি করে এসব গাছ লাগাতে হবে। গাছের গুণ এত বেশি যে এ প্রসঙ্গে পবিত্র ইসলাম ধর্মে আছে, ‘যদি শোনো, কাল কেয়ামত এবং হাতে যদি চারা গাছ থাকে, আজকেই তা রোপণ করো।’ কংকন কুমার সরকার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা। দৃষ্টান্ত ও প্রত্যাশা জীবন-মৃত্যুর চেয়ে সত্য আর কিছু নেই। এ কথাই প্রমাণ করল গণজাগরণ মঞ্চ আর হেফাজতে ইসলাম। সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর মুমূর্ষু মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য উভয় সংগঠনকে ধন্যবাদ। বস্তুত, সংবিধান সংশোধন করে মানুষকে সংশোধন করা যায় না। দেশের আইন, তার প্রয়োগ, সচেতনতা, জ্ঞান ও ভালোবাসা সমাজকে, ধর্মকে, জাতিকে বিশ্বদরবারে উদ্ভাসিত করে। যুগে যুগে মানবপ্রেমেই সবাই পৃথিবীতে নিজ নিজ অবস্থান দৃঢ় করেছে। আশা করব, রানা প্লাজার ক্ষেত্রে তারা যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে; দেশের শান্তির জন্যও তারা এভাবে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। রক্তিমা চক্রবর্তী কলাবাগান, ঢাকা।

শেয়ার করুন