ভোরের সমাধির পাশে শুয়ে আছি। দেখি, আফিমের বাগানে গজিয়ে উঠছেস্মৃতিচিহ্নেরা। বেঁচে থাকা, সেও এক বিভ্রান্তি। অথবা আঙুরলতার ফলভারনতশাখা! এসব আজ দুরূহ, কঠিন মনে হয়। মনে হয় দূরের আকাশে ঠান্ডা বোমারু বিমানছাড়া কোনো সহজ সত্য নেই। তবু ভোরের সমাধির পাশে শুয়ে আছি। যেন সমাধি সমাধিনয়, গমখেত। ভাতের গরম মাড়। এসব ঋণ ও লবণ হূদয় আজীবন পান করে গেছে। অথচ শরীরসেই অক্ষর মুছে মুছে আজ সাদা পাতা হয়ে আছে।
২.
তালগুড় মুখে নিয়েপিঁপড়ে নয়, হেঁটে আসে মৃত্যু। যেন মরে যাওয়া খুব ভালো। যেন শোকসংগীতপৃথিবীর মহত্তম সৃষ্টি। জীবনের সব রস জ্বাল দিলে এমন সুমিষ্ট হবে! সেই গাঢ়রস তবে তালগুড় হয়ে কাছে আসে? তবু কেন হূদয় আজও শিশুর আলিঙ্গন ভালোবাসে!
৩.
ভোরেরসমাধির পাশে শুয়ে আছি। নিচে মাটি, আশা ও অস্থি, মানুষের গান। ওপরে চেয়েদেখি, আকাশ আকাশ নেই। তারও হয়েছে কবর। উড়ন্ত বল নেই। শিশু নেই। খেলার নিয়মেআজ ঘটেছে বদল। সবচেয়ে সত্য এই মাটির করতল।
(রুপশী বাংলা নিউজ) ২৬ এপ্রিল /২০১৩.