সিরাজগঞ্জের তাড়াশের পি আই ও অফিসে প্রকাশ্যে গণহারে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ গোলাম আজম নিজেই এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলমান টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের প্রতিটি প্রকল্প কমিটির সভাপতি এবং সম্পাদকদের নিকট থেকে অফিস খরচের কথা বলে খাদ্য শস্যের ডিও নিতে প্রতি মেঃটনে ২ হাজার টাকা করে ঘুষ আদায় করছে প্রকাশ্যে। এ প্রসঙ্গে কথা হয় গনেশ নামের একজন প্রকল্প কমিটির সভাপতির সাথে। তিনি বলেন, প্রতি মেঃটন খাদ্য শস্যের ডিও নিতে ২ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হচ্ছে তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম আজম কে। এ ছাড়াও ওই অফিসের অফিস সহকারী মোঃ হাফিজুর রহমানকেও কিছু টাকা দিয়ে খুশি করতে হচ্ছে ডিও নেয়ার সময়। তিনি আরও বলেন প্রকাশ্যে ঘুষ আদায়ের এ ঘটনা দলীয় স্থানীয় নেতাকর্মীদের জানিয়েও কোন প্রতিকার হচ্ছে না। তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ওই ঘুষের টাকা কম দিতে গেলে কারণে অকারণে হয়রানি করে প্রকল্প কমিটির লোকজনকে বলে একাধিক ভুক্তভোগী গতকাল সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। তারা আরও বলেন, কিন্তু এগুলো দেখার কেউ নেই। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে সংশিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জর“রী ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাড়াশবাসী। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ গোলাম আজম কথা বলতে রাজি হননি।
(রুপশী বাংলা নিউজ) ২৬ এপ্রিল /২০১৩