চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে গতি এসেছে। সরকারের ক্ষমতার শেষ বছরে এসে প্রকল্প বাস্তবায়ন জোরদার হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ৪৯ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে আলোচ্য সময়ে সর্বোচ্চ এডিপি বাস্তবায়ন। এর আগের দুই বছরে একই সময়ে ৪৫ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এ হার ছিল ৪৪ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
আইএমইডির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে এডিপিতে থাকা উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ২৭ হাজার ২১৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। শুধু মার্চ মাসেই খরচ হয়েছে তিন হাজার ২২ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিন হাজার ১৫৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এর আগের মাসে এর পরিমাণ ছিল চার হাজার ৬০ কোটি টাকা।
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বা প্রথম প্রান্তিকে গড়ে আড়াই হাজার কোটি টাকা করে প্রতি মাসে খরচ হতো। আর তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা করে খরচ হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের নয় মাসের এডিপি বাস্তবায়ন চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এবারের এডিপিতে স্থানীয় ও বিদেশি সহায়তার অর্থ ব্যয়ে বেশ অগ্রগিত হয়েছে। আলোচ্য সময়ে দেশজ উৎসের ১৮ হাজার ১০৯ কোটি টাকা বা বরাদ্দের ৫৪ শতাংশ খরচ হয়েছে। আর বিদেশি সহায়তার নয় হাজার ১১০ কোটি টাকা বা বরাদ্দের ৪২ শতাংশ খরচ করতে পেরেছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।
চলতি অর্থবছরের শুরুতে ৫৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। নয় মাস পর্যন্ত এই আকার ধরে হিসাব করা হয়েছে। কিন্তু গত মাসে সংশোধিত এডিপি চূড়ান্ত হয়েছে। এর আকার ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে নয় মাস পর্যন্ত ৫২ শতাংশ সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।
অবশ্য অর্থবছরের নয় মাস পেরিয়ে গেলেও ৩৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের বরাদ্দের অর্ধেকও ব্যয় করতে পারেনি। এর মধ্যে ১২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের অনুকূলে বরাদ্দের এক-তৃতীয়াংশও খরচ করতে পারেনি।
(রুপশী বাংলা নিউজ) ২৬ এপ্রিল /২০১৩.