আমরা নীলফামারী জেলা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অধিবাসী।আমাদের ছেলেমেয়েরা নীলফামারী জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। আমাদের এখানে কোনো মিশন স্কুল নেই। সে জন্য সবাই সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে।
আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে সবারই নিজ নিজ ধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করার অধিকার আছে কিন্তু নীলফামারীর অনেক বিদ্যালয় তাদের খ্রিষ্টানধর্ম শিক্ষা পাঠদানে আগ্রহী হয় না। কারণ, হিসেবে তারা বলেন যে আমাদের খ্রিষ্টানধর্ম শিক্ষা দেওয়ার মতো শিক্ষক নেই। সে ক্ষেত্রে তাদের বাধ্য হয়ে হিন্দুধর্ম শিক্ষা বই পড়াতে হয়। কোনো কোনো বিদ্যালয় অবশ্য হিন্দু পণ্ডিত শিক্ষক দ্বারা খ্রিষ্টানধর্ম শিক্ষা বই পাঠ করান। খ্রিষ্টান ছেলেমেয়েরা নিজ দায়িত্বে খ্রিষ্টানধর্ম পড়তে চাইলে তারা বাইরে থেকে বই সংগ্রহ করে আনত। কিন্তু বর্তমানে সরকারের নীতির কারণে বাইরে থেকে বই সংগ্রহ করার সুযোগ নেই। শিক্ষামন্ত্রী জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব করেছেন।
অথচ এপ্রিল মাসের শেষে এসেও খ্রিষ্টান শিক্ষার্থীদের হাতে ধর্ম বই আসেনি। নীলফামারী শহরের আদর্শ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে দুজন, সপ্তম শ্রেণীতে দুজন ও অষ্টম শ্রেণীতে একজন এবং ছমির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে একজন ও সপ্তম শ্রেণীতে দুজন খ্রিষ্টান ছাত্র আছে। কিন্তু তারা আজও ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বই পায়নি।
আমরা প্রতিটি স্কুলে জানুয়ারি মাসেই খ্রিষ্টানধর্ম বইয়ের চাহিদা দিয়ে আসছি, কিন্তু বই সরবরাহ করা হয়নি। এ অবস্থায় খ্রিষ্টান শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে ধর্মও নৈতিক শিক্ষার বই পৌঁছানোর দাবি করছি। অন্যথায় তাদের পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
আলেকজান্ডার অলক ঢালী
সম্মিলিত চার্চ ঐক্য পরিষদ, নীলফামারী
(রুপশী বাংলা নিউজ) ২৬ এপ্রিল /২০১৩.