বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, যুগ্ম-মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী দলেরচেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ তিন নেতা একঘণ্টা বৈঠক করেন বলে জানা গেছে।সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় তারা এ বৈঠকে বসেন।এরআগে সোমবার সকালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বরকত উল্লাহ বুলু ও শহীদ উদ্দিনচৌধুরী এ্যানীকে জামিন দেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। সকাল এগারোটায় এ তিনএমপি জামিনে মুক্ত হয়ে নিজ নিজ বাসায় ফেরেন।
রোববার বিএনপির শীর্ষ১০ নেতার জন্য করা ১৯টি জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষে বিকেলে মহানগর দায়রাআদালতের বিচারক মো. জহুরুল হক এ জামিন আদেশ দেন।সংশ্লিষ্ট আদালতেরঅতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আলম তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, যেহেতুসংসদ অধিবেশন চলছে এবং মওদুদ, বুলু ও এ্যানী সংসদ সদস্য সে বিবেচনায় আদালততাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।বাকি ৭ আসামির জামিনের আবেদন আদালত নাকচ করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।আসামিরজামিনের আবেদন নাকচের বিষয়ে তিনি বলেন, “যেহেতু মামলাগুলো বেশিরভাগ দ্রুতবিচার আইনের মামলা, মামলাগুলোর চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে এবং বর্তমানেমামলাগুলোর বিচার চলছে, সেহেতু বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুরকরেছেন।”জামিন আবেদন না-মঞ্জুর হয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যানআব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও আমান উল্লাহ আমানএবং যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের।
আসামিদের মধ্যে মওদুদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমান ৬টি করে মামলার আসামি।এছাড়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ৫টি করে মামলার আসামি। রিজভী আসামি একটি মামলার।আসামিপক্ষেজামিনের শুনানিতে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুলইসলাম মিয়া, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট বোরহান আহমেদ প্রমুখ আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিলঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিএনপির এ শীর্ষ নেতাদের জামিনের জন্য আবেদনকরা হয়েছিল। ওই দিন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. জহুরুল হক শুনানির জন্যরোববার দিন ধার্য করেছিলেন।এ বিষয়ে বিএনপির আইনজীবীদের একজন জয়নুলআবেদীন মেজবাহ জানান, গত ৭ এপ্রিল বিএনপির এ সব শীর্ষ নেতা পৃথক ৭টি মামলায়ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। কিন্তু, আদালত তাদেরজামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ ও ৬ মার্চ ঢাকার নয়াপল্টন, শান্তিনগর, মালিবাগ, বেইলী রোড, ভিকারুননিসা নূন স্কুলের রাস্তায় ও শাহজাহানপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি নেতাদের নামে মামলাগুলোদায়ের করা হয়।
২৩-০৪-২০১৩.