বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এ চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার কারণে চুক্তিবিরোধীরা এখন অনেক শক্তিশালী ও সংগঠিত। একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব।’
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (১৯৯৭) বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক সেমিনারে মেনন এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহায়তায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
মেনন বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন করে আদিবাসীদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, পার্বত্য অঞ্চলেও এর প্রভাব পড়বে। একমাত্র পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এ ধরনের অস্থিতিশীলতা রোধ করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ভূমি আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে চুক্তিটি ফলপ্রসূ করা সম্ভব। এ সময় তিনি আদিবাসীদের মূলাধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে আহ্বান জানান।
সেমিনারে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রী, তিনি ছিলেন এই চুক্তির প্রণয়নকারী। তাহলে কেন এ চুক্তি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না? সম্ভবত এ ব্যাপারে সরকারকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, কিছু জায়গায় অল্প কিছু মানুষের লোভের কারণে অনেক ক্ষেত্রে চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে।
সেমিনারে মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম ত্রিপুরা, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ড. নীরু কুমার চাকমা। মূল বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সৌরভ শিকদার।
২২ এপ্রিল /২০১৩.