বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে তাঁর প্রজ্ঞা কাজে লাগিয়ে চলমান সংকট সমাধান করতে হবে। এটি নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির জন্য চ্যালেঞ্জ। আশা করি, তিনি এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন এবং শুধু আওয়ামী লীগ নয়, ১৬ কোটি মানুষের রাষ্ট্রপতি হবেন।’
আজ সোমবার সকালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন কমিশন আবদুল হামিদকে দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করার পর ব্যক্তিগত এক প্রতিক্রিয়ায় মাহবুবুর রহমান এ কথা বলেন।
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তারা বলছে, ‘পরে’ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, একটি কঠিন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আবদুল হামিদ।দুই দল তাদের অবস্থানে অনড়। গণতন্ত্রের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপতিকেই কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।
সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদকাল হবে শপথ গ্রহণের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। এ কারণে ২০তম রাষ্ট্রপতিকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
এই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মনোনয়ন ছিল না। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতাদের অনেকে এর মধ্যে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে দলের দপ্তর থেকে জানানো হয়, যাঁরা বক্তব্য দিয়েছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে পরে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে দলটি।
বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তাঁদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দলগতভাবে পরে জানানো হবে।
মাহবুবুর রহমান জানান, আজ দুপুর পর্যন্ত দলের স্থায়ী কমিটিতে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে আলোচনা করে পরে হয়তো দলগতভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
মাহবুবুর রহমান তাঁর প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলো ডটকমকে আরও বলেন, আবদুল হামিদের রাজনৈতিক জীবন বর্ণাঢ্য। তিনি ভালো মানুষ, এ নিয়ে বিতর্ক নেই। কিন্তু নবম জাতীয় সংসদ ব্যর্থ। এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলেরও কিছু দায়দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সংসদের অভিভাবক হিসেবে স্পিকার আবদুল হামিদ প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।
২২ এপ্রিল /২০১৩.