গরম আসছে। এই সময় শহর ও গ্রামে সাধারণত টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব বাড়ে।
প্রচণ্ড গরমে যাঁরা বাইরে কাজ করেন তাঁদের মধ্যে বাইরের পানি, শরবত, বিক্রির জন্য কেটে রাখা অনাবৃত ফল যেমন শসা, বাঙ্গি, তরমুজ, আমড়া, আখের রস ইত্যাদি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। স্কুলের শিশুরা ফেরিওয়ালার কাছ থেকে দূষিত পানি দিয়ে ধোয়া বা অনাবৃত না ধোয়া শসা, পেয়ারা, আমড়া ইত্যাদি উৎসাহ নিয়ে খায়।তাই তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সাধারণ জনগণের মাঝে পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যসচেতনতার অভাব আমাদের দেশে টাইফয়েডের মূল কারণ।মোট রোগীর ২১ শতাংশই আক্রান্ত হয় পয়োনিষ্কাশনের অব্যবস্থার কারণে।
চিকিৎসা
এক সপ্তাহের বেশি জ্বর থাকলে বা জ্বরের মাত্রা তীব্র হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। জ্বর কমে গেলেই ওষুধ বন্ধ হয়ে যাবে না, মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে হবে।সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়, তা না-হলে আবারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
প্রচুর পানি ও অন্যান্য বিশুদ্ধ তরল খাবার গ্রহণ করুন। পুষ্টিকর খাবার খান। তেল ও মসলাযুক্ত খাবার বা ফাস্টফুড এবং অতিরিক্ত চা-কফি এড়িয়ে চলুন। প্রচুর বিশ্রাম নিন। জ্বর বাড়লে শরীর স্পঞ্জ করে, মাথায় পানি ঢেলে ও প্যারাসিটামল খেয়ে তাপমাত্রা কমাতে হবে।
প্রতিরোধ
—বাইরের দূষিত ও অপরিষ্কার খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন। সর্বদা বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
—ফলমূল, শাকসবজি ও তাজা খাবার ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।
—রান্না ও থালাবাসন ধোয়ার কাজে পুকুরের পানি বা অপরিষ্কার পানি ব্যবহার করবেন না।
—শৌচাগার ব্যবহারের পর এবং খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার বিষয়ে সচেতন হন এবং শিশুদের স্বাস্থ্যকর জীবনাচরণ শেখান।
—টাইফয়েড রোগের টিকা কয়েক বছরের জন্য কার্যকর হতে পারে। দুই বছর বয়সের নিচে এ টিকা ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলlপ্রযোজ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়।
২২ এপ্রিল /২০১৩.