মহম্মদ হাননানের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘শিখণ্ডী কথা’ চলচ্চিত্র আজ থেকে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রথমে বলাকা-২-এ মুক্তি পেলেও পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাবে।
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ‘শিখণ্ডী কথা’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে হিজড়াদের জীবনের অন্যরকম গল্প নিয়ে। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, মিরানা জামান, মহম্মদ হাননান এবং মহাকাল নাট্যসম্প্রদায়ের শিল্পীরা।
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম সূত্রে জানা গেছে, ছবিটির মুক্তি উপলক্ষে ১৮ এপ্রিল রাজধানীর বলাকা-২ সিনেমা হলে উদ্বোধনী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ছবির পরিচালক মহম্মদ হাননান ও গল্পকার আনন জামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ‘শিখণ্ডী কথা’ ছবির পোস্টার পরিচালক মহম্মদ হাননান ও শিল্পীদের হাতে তুলে দেন ফরিদুর রেজা সাগর। এরপর উপস্থিত দর্শকেরা ছবিটি রুপালি পর্দায় উপভোগ করেন।
‘শিখণ্ডী কথা’ চলচ্চিত্রের কাহিনিতে দেখা যাবে, দুই মেয়ের পর তৃতীয় সন্তান ছেলে হওয়ায় রমজেদ মোল্লা ও রামেলার সংসারে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। রমজেদ তার ছেলের নাম রাখে রতন। শৈশব থেকে কৈশোরে উত্তীর্ণ হওয়ার পর রতনের দেহের অসংগতি প্রকট হতে শুরু করে। তার পরিবারের সদস্য ও গ্রামের সবাই বুঝতে পারে রতন আসলে হিজড়া। স্কুলের বন্ধু ও গ্রামের লোকদের তিরস্কারে অতিষ্ঠ রতন বুঝতে পারে, এ সমাজের কেউ তাকে আশ্রয় দেবে না। বাধ্য হয়ে রতন আশ্রয় নেয় হিজড়া ডেরায়। সেখানে তার নাম দেওয়া হয় রত্না।
কালী মাসির তত্ত্বাবধানে হিজড়া ডেরায় বেড়ে ওঠে রত্না। প্রায় সব হিজড়ার গল্পই তার মতো। পরিবার ও সমাজে আশ্রয় না পেয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে নিজেদের মতো বাঁচতে শিখেছে ওরা। কাজের অভাবে দোকান-বাজার থেকে টাকা উঠিয়ে অথবা নতুন শিশু জন্মের সময় নাচ-গান করে জীবিকা নির্বাহ করে তারা। নিজেদের সুখ-দুঃখ ওরা নিজেদের মধ্যেই ভাগ করে নেয়।
ঘটনাচক্রে একদিন সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে রত্না প্রশ্ন করে, কেন তাকে হিজড়া হিসেবে পৃথিবীতে পাঠানো হলো? সৃষ্টিকর্তা হিজড়াদের সৃষ্টি করেছেন, তাহলে তাঁরই সৃষ্ট মানুষ কেন তাদের মানুষ বলে গণ্য করে না?
১৯ এপ্রিল /২০১৩.