কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমেছে। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন প্রায় প্রতিদিন বয়ে যাচ্ছে কালবৈশাখী। ঝড়ের আঘাতে ক্ষতি হচ্ছে জানমালের।লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলও উত্তাল। এ কারণে দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পয়লা বৈশাখের পরের দিন থেকে সারা দেশে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে।কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি জেলায় আঘাত হেনেছে কালবৈশাখী।গতকাল বুধবারও ঝোড়ো বাতাস ছিল, যার গতি ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে ওঠানামা করেছে। একই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও পড়েছে। এ কারণে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াল কমেছে। উষ্ণতা কমলেও আজও কালবৈশাখী হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া অধিদপ্তরের।
গতকাল রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয় রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বা কোথাও কোথাও আরও অধিক বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কালবৈশাখীর প্রচণ্ড আঘাত হানার আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে বেশি। এর সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
ঝোড়োভাব কেটে গেলে আবারও গরম পড়তে পারে বলে আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামানের আশঙ্কা। তিনি বলেন, গরম পড়লেই কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা থাকে। ঝড়ের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে এসে আবারও তা বেড়ে যায়। তখনই আবার ঝড় হয়ে থাকে।তাই পুরো এপ্রিল মাসেই কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঝোড়ো হওয়া ও বৃষ্টির কারণে সারা দেশের মতো রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা বেশ কমে গেছে। গত সপ্তাহে ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলেও আজ সকালে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে।
১৮ এপ্রিল /২০১৩.