নারীর আবেগ বুঝতে পুরুষকে হিমশিম খেতে হয়। নারীর এই চিরাচরিত দাবির যথার্থতা এবার বিজ্ঞানীরাও নিশ্চিত করলেন। জার্মানির এলডব্লিউএল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের গবেষকেরা জানান, আরেকজন পুরুষের আবেগের চেয়ে একজন নারীর আবেগের মানে বুঝতে পারাটা একজন পুরুষের জন্য দ্বিগুণ কঠিন।প্রতিবেদনটি প্লস ওয়ান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ২২ জন তরুণকে ৩৬ জোড়া চোখের ছবি দেখানো হয়। এর মধ্যে অর্ধেকই ছিল নারীর চোখ। এসব ছবিতে কী ধরনের আবেগ বা অভিব্যক্তি (সন্দেহ, ভয় বা অন্য কোনো অনুভূতি) প্রকাশিত হচ্ছে, তা ওই তরুণদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এসময় তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যপদ্ধতি বিশ্লেষণ (স্ক্যান) করা হয়।
পুরুষের চোখের ছবি দেখে ওই তরুণেরা নিজেদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে নির্দিষ্ট দৃষ্টির মিল খোঁজেন। নিজ নিজ মস্তিষ্কের অতীত স্মৃতির অংশ থেকে তাঁরা ওই দৃষ্টির আবেগ বুঝতে সমর্থ হন। কিন্তু নারীর দৃষ্টি তাঁদের কাছে তুলনামূলক রহস্যময় মনে হয়। ফলে সেই চাহনির অর্থ উদ্ধার করা তাঁদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা অংশটি অন্যের আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার কাজ করে। পুরুষের দৃষ্টির অর্থ উদ্ধারে একজন পুরুষের অ্যামিগডালা বেশ কার্যকর হলেও নারীর দৃষ্টির মানে বুঝতে ততটা সফল হয় না।টেলিগ্রাফ।
১৮ এপ্রিল /২০১৩.