ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে একটি যাত্রীবাহী বিমান গতকাল শনিবার দুর্ঘটনাবশত বিমানবন্দরের রানওয়ের পরিবর্তে সাগরে অবতরণ করে। এ ঘটনায় বিমানটির কিছু যাত্রী আহত হলেও সবাই প্রাণে বেঁচে গেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার ‘লায়ন এয়ার’ নামের বিমান পরিচালনা সংস্থার ওই বোয়িং বিমানে ১০০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। গতকাল গ্রিনিচ মান সময় সকাল সাতটার দিকে বিমানটি পর্যটন দ্বীপ বালির ডেনপাসার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার চেষ্টা করে।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হরি ভক্তি প্রথমে জানান, বিমানটি রানওয়েতে নামার পর তা পেরিয়ে পানিতে নেমে যায়।
পরে বক্তব্য সংশোধন করে হরি ভক্তি জানান, বিমানটি সরাসরি পানিতে অবতরণ করে। ঘটনার সময় আবহাওয়া ভালো ছিল বলেও তিনি জানান।
টুইটারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বিমানটি কিছু পাথরখণ্ডের কাছে পানিতে আংশিক তলিয়ে রয়েছে।
বিমানটির মূল অবয়ব থেকে পেছনের দিকে একটি বড়সড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।জীবনরক্ষাকারী জ্যাকেট পরিহিত কয়েকজন যাত্রী পানিতে ভাসছেন। পরে উদ্ধারকর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
দেবী নামের একজন যাত্রী বলেন, বিমানটি অবতরণ করার শেষ মুহূর্তে ছিল। এমন সময় হঠাৎ করেই বিমানটি পানিতে পড়ে যায়। আরোহীরা তখন ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করে দেন।
কথা বলার সময়ও স্বর কাঁপছিল দেবীর। দুর্ঘটনার সময় তিনি মাথায় হালকা আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে ডেনপাসার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালে তাঁর মতো চিকিৎসা নিয়েছেন আরও নয়জন যাত্রী।
তবে দুর্ঘটনায় মোট কয়জন আহত হয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
লায়ন এয়ারের একজন মুখপাত্র জানান, ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১০১ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রু সদস্য ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ৯৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ছয়টি শিশু ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটি এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হরি ভক্তি।এএফপি ও বিবিসি।
(রুপশী বাংলা নিউজ) ১৪ এপ্রিল /২০১৩.