হজ প্যাকেজ
ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ প্যাকেজ, ২০১৩ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। প্যাকেজে হজের টাকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩০ মে। অনেক ইচ্ছুক হজযাত্রী ও হজ এজেন্টের সুবিধার্থে এ তারিখ আগামী ৩০ জুন পুনর্নির্ধারণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এ প্যাকেজের বিষয়গুলোর প্রতি হজ শাখার (ধর্ম মন্ত্রণালয়) মনোযোগ আকর্ষণ করছি:
১. বিমান ভাড়ায় হজযাত্রীদের নির্ধারিত কমিশন বা রিবেট দেওয়া হোক (দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করার জন্য)। ২. হজযাত্রীদের জন্য এম্বারকেশন ফি ও এক্সাইজ ডিউটি মওকুফ করা হোক। ৩. মোয়াল্লেম ফি ৫০ শতাংশ নির্ধারণের জন্য সৌদি সরকারের হজ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হোক। ৪. সৌদি আরবে মোয়াল্লেম ও মোয়াচ্ছাছাকে প্রদেয় অর্থের ৭৫ শতাংশ মওকুফ করার জন্য সৌদি সরকারকে অনুরোধ জানানো হোক। ৫. হজ গাইডের জন্য নির্ধারিত খরচ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হোক। ৬. হজের আবেদন ফরম জনতা ব্যাংক লিমিটেড ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের দ্বীনি দাওয়াত বিভাগের কার্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে পাইনি।নির্ধারিত স্থানগুলোতে যাতে সংশ্লিষ্ট ফরমটি সহজে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করা হোক। ৭. প্রতি ৪৫ জন হজযাত্রীর পরিবর্তে প্রতি ২০ জন হজযাত্রীর জন্য একজন করে গাইড নিয়োগ করা হোক। ৮. হজযাত্রীদের আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব হজ অফিসের ওপর ন্যস্ত করা হোক। ৯. হজ এজেন্সির জন্য হজযাত্রীদের সমন্বিত তালিকা হজ অফিসে পাঠানোর তারিখ আরও কয়েক দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক। ১০. এ বছর পবিত্র হজ পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতাকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানানো হোক। উল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।
মু. আবদুল মতিন শিকদার
মিরপুর হাউজিং এস্টেট, রূপনগর, ঢাকা।
বিদ্যুৎ বিল
আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কান্দিপাড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছি। গত মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিল বিদ্যুৎ বিভাগের লোকের মাধ্যমে আমার হাতে পৌঁছায়। বিল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করার জন্য অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের বিএ রোড শাখা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাই। টাকাসহ বিদ্যুৎ বিল ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে জমা দিই। ব্যাংক কর্মকর্তা আমার বিল জমা করা যাবে না বলে ফেরত দেন। আমি এর কারণ জানতে চাই। তিনি আমাকে বলেন, ‘আপনার বিলের মধ্যে টাকার পরিমাণ, বিল দেওয়ার তারিখ, বিল হিসাব নম্বর কিছুই নেই। তাই আমি বিল জমা নিতে পারব না।’ আমি বিলটি হাতে নিয়ে দেখতে পাই, ব্যাংক কর্মকর্তা যা বলছেন, সবই সঠিক।
তাই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি, যাতে বিলের তারিখ, বিল নম্বর ও টাকার পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। আর গ্রাহক যাতে হয়রানির শিকার না হন।
মো. মহসীন
কান্দিপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
প্রশ্নপত্রে ভুল
এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয় পত্র প্রশ্নপত্রের ৮(খ) নম্বর প্রশ্নের বানান ও কম্পোজিং ভুল এসেছে।ভাবসম্প্রসারণে খ নম্বর প্রশ্নটি লেখা হয়েছে ‘দুর্জন বিদ্ধান হইলে ও পরিত্যাজ্য।’ উপযুক্ত লাইনটিতে ‘বিদ্বান’ শব্দটি ভুল (বিদ্ধান) হয়েছে এবং ‘ও’ অক্ষরটি ‘হইলে’র সঙ্গে সংযুক্ত হবে অর্থাৎ সঠিকটি হবে ‘দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য।’ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ বিষয়ে আরও যত্নশীল হওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রশান্ত কুমার বসাক
প্রভাষক, রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ, ঠাকুরগাঁও।