ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকারের একটি রূপরেখা প্রস্তাব করেছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা: প্রক্রিয়া ও কাঠামো প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি এ প্রস্তাব দেয়।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রথমে স্পিকার দুই জোটের সাংসদদের মধ্য থেকে ঐকমত্যের সংসদীয় কমিটি গঠন করবেন। তিনি দুই জোট থেকে চারজন বা এর বেশি গ্রহণযোগ্য সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারেন। এর নাম হবে সংসদীয় ঐকমত্য কমিটি। এ কমিটি নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচন করবে।
টিআইবি অনেক বিকল্পের কথা বলেছে। সংসদীয় ঐকমত্য কমিটি নির্বাচনকালীন সরকারের একজন প্রধান নির্বাচন করবে। তারপর তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের বাকি ১০ জন নির্বাচন করবে। অথবা প্রথমে সরকারের জন্য ১০ জন নির্বাচন করবে। পরে তাঁরা আলোচনা করে ওই সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নির্বাচন করবেন।
নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান বা অন্য সদস্যরা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে হতে পারেন, অনির্বাচিত হতে পারেন অথবা দুইয়ের সমন্বয়ও হতে পারেন। তবে সবার কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
টিআইবি বলছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য যে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ প্রয়োজন, বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর চর্চা ও আচরণ তার জন্য অনুকূল নয়। নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করা বা গ্রহণযোগ্য নয়—প্রচার করার প্রবণতা থেকেই টিআইবি এই ফর্মুলা দিয়েছে।
টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, তাঁরা বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে পার্থক্য আছে। যদি নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালী থাকে, তাহলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব। কিন্তু বিরোধী দল ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। নির্বাচন কেমন হবে তা নিয়ে অস্পষ্টতার কারণে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়েছে। সুশাসনের প্রেক্ষাপট থেকে টিআইবি এই ফর্মুলা দিয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই ফর্মুলা রাজনৈতিক জোটের কাছে উপস্থাপন করা হবে।তারা এটিও মেনে নিতে পারে। অথবা নতুন ফর্মুলাও দিতে পারে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং সংঘাতময় পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্যই টিআইবি এই ফর্মুলা দিয়েছে।
(রুপশী বাংলা নিউজ) ১২ এপ্রিল /২০১৩.