সিরাজগঞ্জ এ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে বছরে অবৈধ আয় ২০ কোটি টাকা

0
225
Print Friendly, PDF & Email

সিরাজগঞ্জ এ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে বছরে অবৈধ আয় ২০ কোটি টাকা বলে অভিযোগ উঠেছেবিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া, সলঙ্গা, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ, বেলকুচি, সদর উপজেলা, কাজিপুর, উপজেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরে অবস্থিত সাব-রেজিষ্ট্রি এ অফিস গুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে বছরে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছেপ্রতিবছর ওই সব সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে খোশ কবলা, দানপত্র, হেবাদান, ওসিয়তনামা ও বন্টননামায় বছরে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার দলিল সম্পাদন হয়ে থাকেএর মধ্যে সর্বাধিক দলিল সম্পাদন হয় খোশ কবলা শ্রেণিরপৌরসভা ও ইউনিয়নের মৌজাওয়ারী সরকার নির্ধারিত ভিন্ন মূল্য তালিকা রয়েছেদলিল সম্পাদনে পৌরসভার  মধ্যে ভূমির মূল্য তালিকা অনুযায়ী (ষ্ট্যাম্প ৩%, ডিসিট্যাক্স ২%, রেজিষ্ট্রেশন ফিস ২% ও পৌরউস কর ২%) শতকরা ৯ টাকা এবং পৌরসভার বাইরে (ষ্ট্যাম্প ৩%, ডিসিট্যাক্স ২% ও রেজিষ্ট্রেশন ফিস ২%) শতকরা ৭ টাকা হারে রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করে ভূমি রেজিষ্ট্রেশন করার সরকারী বিধান রয়েছেঅথচ এ সকল সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে সরকারি রশিদ সরবরাহ ছাড়াই ভূমি ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে পৌরসভা ও পৌরসভার  বাইরে জমির দলিল রেজিষ্ট্রেশন করতে সরকার নির্ধারিত  মূল্যের বাইরে দ্বিগুণ, আবার কখনো কখনো ৩ গুণ হারে অর্থ দীর্ঘদিন যাব আদায় করা হচ্ছে একটি সিন্ডিকেট চক্র কর্তৃকঅবৈধভাবে হাতিয়ে নেয়া এই বিপুল পরিমান টাকার বড় ভাগটা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিষ্ট্রার এবং ওই অফিস গুলোর আওতাধীন দলিল লেখক সমিতির মাধ্যমে সকল দলিল লেখকের পকেটেউপজেলা গুলোর বিভিন্ন মহল থেকে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস গুলোর ওপেন সিক্রেট দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে জেলা রেজিষ্ট্রার কোনো কোনো সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এ নাম মাত্র তদন্ত করছেনতারপরও থেমে নেই তাদের অবৈধ অর্থ আদায়এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন

২৮ মার্চ/২০১৩/নিউজরুম.

শেয়ার করুন