সামিনা চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার ছিল দেশ টিভির জন্মদিন। এ উপলক্ষে দুই দিন ধরে নানা অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। আজ রাতে থাকছে তেমনই একটি অনুষ্ঠান।নাম ‘সিগনেচার টিউন অব সামিনা চৌধুরী’।
‘সিগনেচার টিউন অব সামিনা চৌধুরী’ অনুষ্ঠানে যে ধরনের গান করব…
অনুষ্ঠানের নাম দেখেই বোঝা যায়, কী ধরনের গান আমাকে গাইতে হবে। যে গানগুলো আমাকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দিয়েছে, সবার হূদয়ে আমার অবস্থান তৈরি করেছে—তেমনই কিছু গান করব। চলচ্চিত্রে প্রথম গেয়েছিলাম ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’ গানটি। এটি জন্ম থেকে জ্বলছি ছবির গান। এরপর যে কয়টি গান গেয়েছি, সব কটিই দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে।
বাবা মাহমুদুন্নবীর কাছ থেকে শেখা প্রথম গান…
‘আমার সোনার বাংলা’ আর ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গান দুটি।
আমার কবিতা পড়ার প্রহর (যে সময়টা কবিতা বা বই পড়ি)…
খুব বই পড়ি। কবিতা তো খুব পছন্দ। ছোটবেলায় আবৃত্তি করতাম। অভিনয়ের খুব শখ ছিল। আমি কিন্তু একসময় গিটার আর কি-বোর্ড বাজাতাম।
প্রথম অভিনয়…
টিভিতে ১৯৮০ সালে প্রথম অভিনয় করেছিলাম ফাগুনের রূপকথা নাটকে। বেতারের অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। ওই সময় জুলিয়েট-সিজার নাটক করেছিলাম। তখন আমার বয়স কত হবে—১২ কি ১৩। রেডিওতে নিয়মিত ‘ছোটদের খবর’ পড়তাম।
আমি না ফাহমিদা নবী (বোন)—যে বেশি ভালো গায়…
অবশ্যই ফাহমিদা। ওর কণ্ঠ খুব মিষ্টি। ওর কণ্ঠে মাখন আছে। আমার কণ্ঠ একটু তীক্ষ।
হঠাৎ করে চলতি পথে যখন শুনি কেউ আমার গান গাইছে, তখন যা মনে হয়…
অবাক হয়ে যাই। একটু দাঁড়াই। শুনি। তখন ভাবতে খুব ভালো লাগে—আমার গান গাইছে!
গানের বাইরে যে কাজটি করতে পারলে ভালো লাগে…
সমাজসেবামূলক যেকোনো কাজ।
প্রযুক্তির যে জিনিসটি আমার সবচেয়ে প্রিয়…
যেকোনো প্রযুক্তিই আমাকে অবাক করে। একসময় ফ্যাক্স মেশিন দেখে অবাক হতাম।এরপর আমাকে অবাক করেছিল টেলিফোন। ইদানীং স্কাইপকে তো বিস্ময়কর বলে মনে হয়।
মানুষের যে গুণটি আমাকে বেশি ছুঁয়ে যায়…
মানুষের জন্য মানুষ ভাববে আর তা নিঃস্বার্থভাবে।
(২৭মার্চ/২০১৩)নিউজরুম।