২০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে স্বামীর সংসারে এসেছিল অভাগী নাজমা (২৪)। সেটা পাঁচ বছর আগে। কিন্তু সুখ ছিল না স্বামীর ঘরে। সংসারে অশাšি—র আগুন লেগেই ছিল। বিয়ের তিন বছরের মাথায় নাজমার কোল জুড়ে জন্মনেয় অনিক(৩) নামে এক সন্তান। নাজমার বাবার বিশ্বাস ছিল,- এবার বুঝি মেয়ের কপালে সুখ(!) সইবে। কিন্তু যৌতুকের কারনে প্রাণটাই গেল।
নাটোরের গুর“দাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের তুলাধুনা গ্রামে স্বামী-শ্বাশুরীর নির্যাতনে সোমবার রাতে খুন হয় নাজমা। ওই ঘটনায় নাজমার স্বামী আব্দুলাহ (৩০) শ্বাশুরী জীবনতারা(৪৫)সহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নাজমার বাবা ওমর আলী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। সিংড়া উপজেলার গুটিমহিষমারী গ্রামের ওমরআলীর মেয়ে নাজমা। পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।
নাজমার ভাই মজিদ জানায়,- তাদের পারিবারিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। তার পরও বোনের সুখের কথা ভেবে সাধ্যমত সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ আবারও ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে নাজমার ওপর নির্যাতন চালায় তার স্বামী আব্দুলাহ ও শ্বাশুরী জীবনতারা। এক পর্যায়ে সোমবার তারা নাজমাকে পিটিয়ে হত্যা করে। মারা যাওয়ার পর তাদের ফোন করে জানানো হয়- নাজমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তারা রাতেই সেখানে ছুটে আসে। মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে-আব্দুলাহ ও তার ¯^জনরা তাদের মারপিট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ নাজমার লাশ উদ্ধার করে।
এব্যাপারে নাজমার শ্বাশুরী জীবনতারার দাবি- নাজমাকে বাবার বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি-তাই অভিমানে গলায় পাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে যৌতুকের কারনে তাকে মারপিট করা হয়নি। যৌতুকের কোন কারন নেই।
গুর“দাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যা মামলা হওয়ার পর অভিযুক্তরা এলাকা ছাড়া হয়ে পড়েছে। তার পরও অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছ্।
২৬ মার্চ/২০১৩/নিউজরুম.