সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চিকিৎসক ও পরিদর্শিকাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাড়াশবাসী এবং ভেস্তে যেতে বসেছে এ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলাধীন তাড়াশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসক ও পরিদর্শিকারা সরকারী চাকুরী বিধি অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন এবং জবাবদিহীতা না থাকায় তারা বসবাস করেন বিভিন্ন জেলা শহরে। এদের মধ্যে উল্লাপাড়া থেকে অফিস করেন তাড়াশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ আলী, জামালপুর থেকে সগুনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ জুলফিকার হায়দার, সিরাজগঞ্জ থেকে তালম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা, মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ পান্না খন্দকার, নওগাঁ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ হাবিবুল্লাহ আজাদ, দেশীগ্রাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছাঃ আকলিমা খাতুন, মাধাইনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ আশসাহাদুল, সগুনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মোছাঃ সৈয়দা তহুরা খাতুন, রায়গঞ্জ থেকে দেশীগ্রাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মোছাঃ আঞ্জুয়ারা খাতুন, মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মোছাঃ আরজিনা খাতুন। তারা কর্মস্থলে নির্ধারিত সময়ের পরে আসেন এবং নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এমনকি অনেকে আবার সপ্তাহে শুধু একবার কর্মস্থলে আসেন। ফলে সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারী অর্থ সম্পদ চুরি ও লুটপাটের অভিযোগ। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে এ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম। এ প্রসঙ্গে কথা হয় তাড়াশ উপজেলার দোগাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিনের সাথে। তিনি বলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের লোকজন বিধি সম্মত ভাবে কর্মস্থলে না থেকে তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা না করায় নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও সেবা। এ ব্যাপারে অভিযুক্তরা কথা বলতে নারাজ।
২৫ মার্চ/২০১৩/নিউজরুম.