দীর্ঘ ১২ বছর বাবা-মায়ের সুশৃঙ্খল নিয়মকানুন ও স্নেহযত্নেগড়ে ওঠে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে কঠিন ভর্তিযুদ্ধেঅংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। বাবা-মা, ভাইবোন ছেড়ে আশ্রয় নেয় বিশ্ববিদ্যালয়েরবিশাল আঙিনায়। কিন্তু সেখানকার কিছু সিনিয়র ছাত্রের ভয়াবহ কুৎসিত রূপ তাদেরকরে তোলে আতঙ্কিত।
সম্প্রতি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশের স্বনামধন্যশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার একআত্মীয় ভর্তি হয়েছে। তার কাছে খবর নিয়ে জানতে পারি সেখানকার ভয়াবহ চিত্র, যা অকল্পনীয়। নতুন ছাত্রদের যখন-তখন ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় ‘বড় ভাই’ নামেরকিছু ছাত্র। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের বিভিন্ন মেসে, ছাদে, হলের কক্ষে আটকেরাখে। যেতে দেয় না। তাদের কথা মেনে চলার জন্য নানা রকম হুমকি দেয়। এভাবেভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের স্বপ্নভরা কোমল মনে চলে মানসিক নির্যাতন। কোনো কোনোছাত্রকে রাত দুই-তিনটা পর্যন্তও আটকে রাখা হয়। এটা কি মানা সম্ভব।
এঅবস্থায় শিক্ষকের দেওয়া পাঠে তাদের মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমি একজনঅভিভাবক হিসেবে এর প্রতিকার চাইব কার কাছে? এ ব্যাপারে প্রশাসন কি কিছুইজানে না? কুয়েটের ভিসি মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ, অবিলম্বে আপনি বিষয়টিতদন্ত করে এ ব্যাপারে শক্ত পদক্ষেপ নিন।
শিক্ষার্থীদের মানসিক যন্ত্রণাথেকে মুক্তি দিতে অনুরোধ করছি কুয়েট থানার সম্মানিত পুলিশ প্রশাসনকেও। এব্যাপারে বিদ্বৎ সমাজেরও করণীয় আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
একজন অভিভাবক, ঢাকা।
আসুন, ঘুরে দাঁড়াই
চলছেমার্চ মাস। আমাদের জাতির ইতিহাসে আলোকিত ও গৌরবোজ্জ্বল এক মাস। এ মাসআমাদের মহান স্বাধীনতার মাস, প্রতিবাদের মাস, প্রতিরোধের মাস। সর্বোপরিআমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর মাস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিঝরাদিনগুলোতে যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা, তাঁদের প্রতি আসুন মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জানাই। শহীদদের স্বপ্নবাস্তবায়নের জন্য তাঁদের সাহস ও শক্তিকে বুকে ধরে বাংলাদেশকে একটি আদর্শরাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে চলুন সামনে এগিয়ে যাই। স্বাধীনতা ওমাতৃভূমির প্রতি অগাধ প্রেম, প্রগাঢ় আস্থা, অশেষ কৃতজ্ঞতা, অকৃত্রিমসম্মান, আনত শ্রদ্ধা, অতল বিশ্বাস নিয়ে স্বাধীনতার এ মাসে আসুন ঘুরে দাঁড়াইসব অশুভ শক্তি বিরুদ্ধে।
গোলাম রাব্বানী, কাপাসিয়া, গাজীপুর।
মেধাবৃত্তি ও কিছু কথা
গতফেব্রুয়ারি মাসের বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষায়মেধাবৃত্তির ফল প্রকাশিত হয়েছে। এই ফল নিয়ে আমার মতো অনেক শিক্ষার্থী ওঅভিভাবকের মনে যে হতাশা রয়েছে তা বুঝতে পারলাম গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২, ৬, ৭ ও১৩ মার্চ প্রথম আলো পত্রিকায় চিঠিপত্র কলামে প্রকাশিত ‘মেধাবৃত্তি’ বিষয়েলেখাগুলো পড়ে।
প্রথম আলোর মতো এত জনপ্রিয় পত্রিকায় ‘মেধাবৃত্তি’ নিয়েপরপর এতগুলো চিঠি প্রকাশের পরও এ বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলে মনেহচ্ছে না। ব্যাপারটা দুঃখজনক। তাই শিক্ষামন্ত্রীর কাছে মেধাবৃত্তির এই ফলপুনর্মূল্যায়নের আবেদন করছি।
সুমাইয়া আনোয়ার
উপশহর, রাজশাহী।