চার সিটি নির্বাচনেই ইভিএম : শাহ্‌নেওয়াজ

0
126
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা: চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এককভাবে ইভিএমে সম্পূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জুনের মাঝামাঝি বা শেষ সপ্তাহে এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ্‌নেওয়াজ এ বিষয়ে বলেন, “আমরা খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবো। কিন্তু পুরো নির্বাচন ইভিএমে ব্যবহার সম্ভব হবে না।”

তিনি বলেন, “বুয়েটের (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) অসহযোগিতার কারণে আমরা ইভিএমের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে পারি নি। তবে আমাদের নিজস্ব প্রকৌশলী দল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কলা-কৌশল রপ্ত করেছে।”

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।

শাহ্‌নেওয়াজ বলেন, “জুনের ২য় বা ৩য় সপ্তাহে আমরা চার সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

তিনি বলেন, “এপ্রিলের শেষ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন-গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচনের সুযোগ আছে। কিন্তু সে সময় আমাদের জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোদমে কাজ করতে হবে। সে হিসেবে যতো আগে নির্বাচন করা যায়, সে চেষ্টা আমাদের থাকবে।”

এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে সব সিটি কর্পোরেশনের ভোটার তালিকার সিডি এসে পৌঁছে নি। এটা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। সিডি পাওয়ার পর ৩৫ থেকে ৪০ দিন সময় হাতে রেখে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।”

তিনি জানান, “১ এপ্রিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে, যা চলবে ২৮ মে পর্যন্ত। এছাড়া ৮ জুলাই শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। এসব বিবেচনায় আমাদের কাছে জুন মাসকেই নির্বাচনের আদর্শ সময় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।”

এর আগে গত ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী জানান, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে মেয়রদের শপথ গ্রহণের দিন থেকে মেয়াদ গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এ চার সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় রয়েছে।

জাবেদ আলী বলেন, “এ নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কমিশন বৈঠকই অনুষ্ঠিত হয়নি। আমরা নতুন ভোটার তালিকায় নির্বাচন করবো। ভোটার তালিকায় দ্বৈত ভোটার আছে কিনা তা নিয়েই এখন ব্যস্ত আছে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্প (এনআইডি)। বিগত ভোটার তালিকায় যারা মারা গেছেন তাদেরও বাদ দেওয়ার কাজ চলছে। এটা শেষ হতেই মে মাস পর্যন্ত সময় লাগবে।’’

যতোক্ষণ না পর্যন্ত ভোটার তালিকার সিডি হাতে আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী বলেন, “আগে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা হতো। কিন্তু এখন ওয়ার্ডভিত্তিক করায় একটু সময় লাগছে।’’

তিনি জানান, ‘‘সব সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন একই দিনে হতে পারে, আবার পৃথক দিনেও হতে পারে। সিডি তৈরির কাজ মে মাসের মাঝামাঝিতে শেষ হলেও নির্বাচনের জন্য তফসিলের দিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় হাতে রাখতে হবে। সে হিসেবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের আগে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পের মহাপরিচালককে মে মাসের মাঝামাঝির মধ্যে সিডি তৈরির জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’’

 মার্চ ২৪, ২০১৩

শেয়ার করুন