কৃষিপণ্য, কৃষিশিল্প পণ্য, মাছ, দুধ, প্রাণিসম্পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পণ্য ও উপকরণ, সার, বীজ, কীটনাশক, জ্বালানি তেল ইত্যাদি পরিবহন ও সরবরাহ এবং এসব পণ্যের আড়ত ও দোকান হরতাল-ধর্মঘটের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন কৃষক ও খামারিরা।
নাটোরের শংকরভাগে চ্যানেল আইয়ের হূদয়ে মাটি ও মানুষ আয়োজিত ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ অনুষ্ঠানে তাঁরা এ দাবি জানান। শুক্রবার সন্ধ্যায় কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার প্রায় ছয় হাজার কৃষকের উপস্থিতিতে ওই প্রাক্-বাজেট আলোচনা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।
নাটোর জেলা পরিষদের প্রশাসক সাজেদুর রহমান, জেলা প্রশাসক জাফরউল্লাহসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি, মৎস্য বিভাগ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, নাটোর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
টানা আড়াই ঘণ্টাব্যাপী শাইখ সিরাজের প্রশ্নোত্তরে কৃষকেরা বীজ, সার ও কীটনাশকে ভেজাল এবং প্রতারণা থেকে পরিত্রাণ দাবি করে বলেন, বিএডিসি তৎপর হলেই কৃষককে এ দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করা সম্ভব। বাজার ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে ফলন মৌসুমে ধানের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না কৃষক।
দুগ্ধ খামারিরা বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে যে দামে দুধ বিক্রি হচ্ছে, তাতে কৃষক মোটেই লাভবান হতে পারছেন না। হতাশ হয়ে অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।
পোলট্রি খামারিরা বলেন, বাচ্চা ও খাদ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য, বার্ড ফ্লু এবং সরকারি পরিকল্পনার ত্রুটির কারণে ইতিমধ্যে দেশের ৭০ ভাগ পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বীজের ক্ষেত্রে প্রতারণা যাতে বন্ধ হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবসমঞ্চত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।বিজ্ঞপ্তি।
২৪ মার্চ/২০১৩/নিউজরুম.