লালন সাঁই যখন বেঁচে ছিলেন, তখন প্রতি দোলপূর্ণিমায় কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় ভক্ত আর অনুসারীদের নিয়ে মরমি তত্ত্বালোচনা ও গানের আসর করতেন। ১৮৯০ সালে লালন সাঁইয়ের তিরোধানের পর থেকে ভক্তরা দোলপূর্ণিমায় তাঁর সমাধি চত্বরে মহাধুমধামের সঙ্গে তাঁকে স্মরণ করে আসছেন। সাঁইজির সমাধির পাশে সমবেত হয়ে ভক্তি নিবেদন, গানবাজনা, সাধুসঙ্গ করে সাঁইজিকে স্মরণ করেন তাঁরা। এক দিনের আয়োজন পরবর্তী সময়ে দুই দিন, তিন দিন করে এখন পাঁচ দিনে পরিণত হয়েছে।আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই আয়োজনের উদ্বোধন হবে। অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে স্মৃতিচারণ, লালনসংগীত ও লালন মেলা।সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে লালন স্মরণ উৎসবের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও লাখো মানুষের সমাগম হবে লালন স্মরণ উৎসবে। পাঁচ দিনের আয়োজন আগামী ৩০ মার্চ গভীর রাতে গানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।’
(২৪মার্চ/২০১৩)নিউজরুম।