আকাশি-নীল জার্সি গায়েও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন মেসি নিজেকে। ২০১০-১১ মৌসুমে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেছিলেন মাত্র একটি। এই মৌসুমে এরই মধ্যে গোল করে ফেললেন ১৫টি। ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পথে কাল করিয়েছেন দুটি গোল, নিজেও করেছেন একটি।
এই ভেনেজুয়েলার সঙ্গেই পুরোনো একটা হিসাব চুকানোর ছিল আর্জেন্টিনার।বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সর্বশেষ হারের স্বাদটা দিয়েছিল সদ্য প্রয়াত হুগো চাভেজের দেশ। কাল শুরু থেকেই ভেনেজুয়েলার রক্ষণে একের পর এক আছড়ে পড়তে থাকে আর্জেন্টাইন আক্রমণের ঢেউ। প্রথমার্ধেই তারা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। ২৯ মিনিটে হিগুয়েইনের প্রথম গোলের পর বিরতির ঠিক আগে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। মাথা ঠান্ডা রেখে গোলে বল জড়িয়েছেন মেসি। এই দুটি গোলই যেমন মেসি-হিগুয়েইন যুগলবন্দীর ফসল, বিরতির পর তৃতীয় গোলটিও আসে মেসি-হিগুয়েইন সমন্বয়ে। মেসির দুর্দান্ত পাসকে পূর্ণতা দেন হিগুয়েইন। ৯ গোল নিয়ে বাছাইপর্বে এখন রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকারই দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে সবার ওপরে। ৮ গোল নিয়ে মেসি ও সুয়ারেজ আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তবে আর্জেন্টিনার একটি মাইলফলকের খুব কাছাকাছি চলে গেছেন মেসি। পূর্বসূরি ডিয়েগো ম্যারাডোনার ৩৪ গোলের চেয়ে মাত্র ২টি গোল কম বার্সেলোনা জাদুকরের।
ঘরের মাঠে এ বছর প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। নিজেদের দর্শকদের সপ্রাণ সমর্থন আর্জেন্টিনার জন্য ছিল বড় অনুপ্রেরণা। তবে কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা তাঁর আক্রমণভাগকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন বেশি, ‘আমাদের ফরোয়ার্ড লাইন বিশ্বেরই অন্যতম সেরা। ভেনেজুয়েলা কঠিন একটা প্রতিপক্ষ, তাদের রক্ষণ ভাঙা খুব কঠিন। আমরা ভালো খেলেছি, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। তাদের চেয়ে আমরা শ্রেয়তর দল ছিলাম।’ বিশ্বকাপের সুবাসটা এখন তীব্রভাবেই পাচ্ছে সাবেলার দল। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলে এখন আলবিসেলেস্তেরাই সবার ওপরে।
এদিকে কলম্বিয়ার ১৬ বছরের আক্ষেপ এবার বোধ হয় ঘুচতে যাচ্ছে। একই দিনে বলিভিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বিশ্বকাপ দৃষ্টিসীমাতেই দেখছে রাদামেল ফ্যালকাওয়ের দল। ভিন্ন পাঁচ গোলদাতার একজন ফ্যালকাও। আর্জেন্টিনার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলম্বিয়া। ম্যাচ অবশ্য একটি কম খেলেছে তারা।রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
একটু হলেও চোট খেয়েছে উরুগুয়ের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন। লুইস সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে গিয়েও ঘরের মাঠে ড্র করেছে উরুগুয়ে প্যারাগুয়ের (১-১) সঙ্গে। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন চারে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে প্রথম চারটি দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপ। পঞ্চম দলকে প্লে-অফ এশিয়ার পঞ্চম দলের সঙ্গে।
এক নজরে
আর্জেন্টিনা ৩: ০ ভেনেজুয়েলা
উরুগুয়ে ১: ১ প্যারাগুয়ে
কলম্বিয়া ৫: ০ বলিভিয়া
পেরু ১: ০ চিলি
(২৪ মার্চ/২০১৩) নিউজরুম।