স্পোর্টস ডেস্ক মিশুর ফ্রিকিক। দারুণ হেডে বল জালে পাঠালেন কোমল। এগিয়ে গিয়ে নড়েচড়ে বসল আবাহনী।
পরের মিনিটেই ২-০। বাঁ প্রান্ত থেকে কোমলের ক্রস। পল থেকে ফ্রাঙ্কের বুদ্ধিদীপ্ত টোকায় বল ব্রাদার্সের জালে।
২০ ও ২২ মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচ অনেকটা মুঠোয় আবাহনীর। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ দিকে সেটি আলগা হয়ে পড়ল খানিকটা। ইলাসুর থ্রু ধরে ২-১ করলেন কিংসলে। আবাহনী গোলরক্ষক সোহেল পারলেন না কিংসলের শট আটকাতে। ম্যাচ জমে উঠল।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে কাল আবাহনী-ব্রাদার্স ম্যাচটি আর গোল দেখেনি।ফরাশগঞ্জকে ২-০ গোলে হারানো আবাহনীর এটি দ্বিতীয় জয়। গ্রুপের শেষ ম্যাচে সামনে পড়বে শক্তিশালী শেখ রাসেল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে যাওয়ার সুযোগ থাকছেই। তবে তিন গ্রুপের মধ্যে সেরা রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখতে আবাহনী এ দিন গোল ব্যবধানটা আরও বাড়াতে চাইছিল।
সেটি হয়নি গোল নষ্ট করার বিলাসিতা দেখানোয়। পল, ইব্রাহিম, শাখাওয়াতরা লক্ষ্যভেদে নিখুঁত ছিলেন না। ম্যাচের পর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ দেখাল কোচ আরদেশির পোরনেতামকে। তবে আবাহনীর জন্য বড় শংকার কারণ দলে চোট-আঘাত বাড়ছেই।
ডিফেন্ডার সুজন, সামাদ, মিডফিল্ডার আরমান আজিজ-প্রাণতোষ চোটের কারণে দলের বাইরে। ওয়ালি ফয়সালও কাল চোটে পড়েছেন। সব মিলিয়ে চোটের কারণে একাদশই গড়তে পারছিল না আবাহনী। এই অবস্থায় যেকোনো দিনই কিন্তু হোঁচট খেতে পারে লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রক্ষণভাগ। আবাহনীর রক্ষণভাগ কাল প্রায় নতুনই দেখাল। মাঝমাঠ থেকে ইয়োকোকে স্টপারে দাঁড় করান কোচ। ‘ভুলে যাওয়া’ ডিফেন্ডার সিরাজী এবং ভাসানীরও ডাক এল একাদশে খেলার।
ওয়ালি রাতে বলছিলেন, ‘আমাদের দুই সাইড ব্যাক তো ওপরে ওঠারই সুযোগ তেমন পায়নি। দুই স্টপারকে সাহায্য করতে হয়েছে বেশি। এভাবে ভালো ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়। একের পর এক ইনজুরি কঠিন করে ফেলছে আমাদের চলার পথ। লিগের গুরত্বপূর্ণ ম্যাচ বাকি, সামনে প্রেসিডেন্টস কাপ। দ্রুত সবাই ফিট না হলে বিপদ আমাদের বাড়বেই।’
কোচ পোরনেমাত এই সংকট উত্তরণে চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন একটিই— আবাহনীর শক্ত এবং এবড়ো-খেবড়ো অনুশীলন মাঠ ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। তারপর আবাহনীর অতিরিক্ত খেলোয়াড় তালিকাটাও তেমন শক্তিশালী নয়। সব মিলিয়ে বড় একটা চ্যালেঞ্জই পোরনেমাত এবং তাঁর দলকে চোখ রাঙাচ্ছে।
চোটগ্রস্ত এই আবাহনীকে পেয়েও ব্রাদার্স কাজে লাগাতে পারেনি এলোমেলো শট নেওয়ায়। শেখ জামালের বিপক্ষে দুবার এগিয়েও ব্রাদার্স হেরেছিল ৩-২ গোলে।টানা দ্বিতীয় হার স্বাধীনতা কাপ থেকে বিদায় দিয়েছে ব্রাদার্সকে। জিতলেও চোটগ্রস্ত আবাহনীর দেখতে হবে অশনিসংকেত!
(২৩ মার্চ): নিউজরুম