শষ্য ভান্ডার খ্যাত দেশের সর্ববৃহৎ বিল অঞ্চল চলনবিলের চাষীরা বোরো ধান চাষের বিপরীতে তরমুজ চাষাবাদ শুরু করেছেন। গত এক বছরে কয়েক দফা ডিজেল, বিদ্যুৎ,সার ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধি এবং বোরো ধানের নায্য মূল্য না পাওয়ায় অর্থকারী ফসল হিসেবে তরমুজ চাষে চলনবিলের কৃষকরা দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে । আর এবছর তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে ও এলাকার তরমুজ চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরে চলনবিল অঞ্চলে ৫শ ৭১হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। শষ্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের কৃষকরা গত বছর থেকে তরমুজ চাষে ঝুকে পড়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ২০ থেকে ২৫হাজার টাকা খরচ হচ্ছে আর ৫০থেকে ৬০হাজার টাকা মুনাফা অর্জনের আশা করছে চাষীরা। এবছর সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা, সোয়াইড়, কৈগ্রাম,জামতলী,চৌগ্রাম, ডাহিয়া, খিরপতা, বাঁশবাড়িয়া, বিয়াস, বিলদহরসহ চলনবিলের বিভিন্ন অঞ্চলে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এবার চলনবিলে পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার আশা করছে কৃষকরা। আর আগামী ১সপ্তাহের মধ্যে এসব এলাকায় পুরোদমে তরমুজ তোলা শুরু হবে।
উপজেলার সোয়াইড় গ্রামের কৃষক সাইফুল ও রফিকুল ইসলাম জানান, এই অঞ্চলের মাটি উপযোগি হওয়ায় পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম। অধিক মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনার কারণে তরমুজ চাষ করেছেন। তাছাড়া এই অঞ্চলের মাটির তরমুজ খুবই সু¯^াধু হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সুনাম রয়েছে বলে জানান তারা।
সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কুমার সরকার জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। অধিক মুনাফার কারণে কৃষকদের তরমুজ চাষে দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২১ মার্চ/২০১৩/নিউজরুম.