গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপরও হাসি নেই চাষিদের মুখে। কারণ দাম কম হওয়ায় আলু বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না তাদের। এক দিকে আলুর দাম কম, অন্য দিকে ঋণ পরিশোধের বাড়তি চাপ। সব কিছু মিলিয়ে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
আলুচাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর কৃষিঋণ, এনজিও ঋণ ও মহাজনী দাদন নিয়ে বেশি লাভের আশায় আলু চাষ করেন সাঘাটা উপজেলার কৃষকেরা। কিন্তু মওসুমের শুরুতেই আলুর দাম কমে যাওয়ায় অন্য ফসল চাষের জন্য জমি থেকে আগাম আলু তুলে কম দামেই বিক্রি করছেন কৃষকেরা। এতে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ঋণ পরিশোধে তারা এখন চিন্তিত।
জুমারবাড়ী গ্রামের আলুচাষি তাজুল ইসলাম জানান, এ বছর তিনি এনজিও ঋণ এবং দাদনের ওপর টাকা নিয়ে এক বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেন। ফলন ভালো হলেও দাম কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। এতে তিনি দারুণভাবে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন। এখন ঋণ পরিশোধ করবেন কিভাবে তা নিয়ে চিন্তিত তিনি।কচুয়া গ্রামের আলুচাষি মনসুর রহমান জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা দরে। যা উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে অনেক কম। আলুর দাম আবারো কমে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনিও আগাম আলু তুলে বিক্রি করে লোকসান গুনেছেন। উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ২৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে দ্বিগুণ জমিতে।ফলনো ভালো হয়েছে। ডায়মন্ড ও কার্ডিলাল আলুর আবাদ বেশি হয়েছে এ উপজেলায়।পল্লী এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এভাবে মওসুমে আলুর দাম কম থাকলে ভবিষ্যতে এ আবাদের প্রতি কৃষকেরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।ফর রহমান দ্রুতবেগে মোটরসাইকেলে মৌলভীর দোকান আসার সময় একটি মিনিট্রাক মোড় নেয়ার সময় তিনি ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়েন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। হাইওয়ে পুলিশ তিগ্রস্ত গাড়ি দু’টি আটক করেছে।
২১ মার্চ/২০১৩/নিউজরুম.