ঢাকা: দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ছাত্রলীগকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে দেয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করবেন মামলার বাদী মাহাবুবুল আলম দুলাল।
বুধবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে মামলার শুনানিতে চার্জশিট গ্রহনের বিরুদ্ধে আদালতে আপত্তি উত্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মামলার বাদী মাহাবুবুল আলম দুলাল।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না গিয়েই ফৌজদারি কার্যবিধি ও পুলিশ প্রবিধান লংঘন করে মূল আসামি, সহআসামি ও সহযোগী আসামিদের বাদ দিয়ে অসম্পূর্নভাবে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন।
শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আলম তালুকদার দাখিলকৃত চার্জশিট গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ২ এপ্রিল নারাজি দাখিল ও এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের ২ মাস ২৪ দিন পর ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে পলাতক আছেন ১৪ জন। চার জনকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
চার্জশিটভূক্ত ২১ আসামি হলেন, ছাত্রলীগ ক্যাডার রফিকুল ইসলাম শাকিল (চাপাতি শাকিল), মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া টিপু, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, আজিজুল হক, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন ইমরান, আজিজুর রহমান আজিজ, মীর মো. নূরে আলম লিমন, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশারফ হোসেন।
জেলহাজতে থাকা শাকিল, নাহিদ, এমদাদ ও শাওন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় জেলহাজতে থাকা যে ৪ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন, মামুন অর রশিদ, ফারুক হোসেন, কাজী নাহিদুজ্জামান তুহিন ও মোসলেহউদ্দীন মোসলেম।
গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন নিরীহ দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস।
মার্চ ২০, ২০১৩