ঢাকা: ৮৪ বছরে পা রাখলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জন্মদিনের কোন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি।
তবে আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও সকাল ১০টার দিকে ছোট আকারের একটি কেক কাটা হয়েছে বলে এরশাদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে বুধবার সকাল থেকেই এরশাদের বাস ভবন বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে নেতা-কর্মীদের ভীড় লেগে আছে।অনেকেই ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাকে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে ১৯৫২ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন।
১৯৮২ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে (চিফ অফ আর্মি স্টাফ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে আসীন হন। এর মধ্যেই তিনি বাংলাদেশের সামরিক শাসক হিসেবে আবির্ভূত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হন তিনি।
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় এরশাদ রংপুরের ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫টিতেই জয়ী হন। এরপর ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের ৪টি ও কুড়িগ্রামের ১টিসহ মোট ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫টিতেই জয়ী হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
সর্বশেষ, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থেকে নির্বাচনে অংশ নেন।এ নির্বাচনে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও ঢাকার ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩টিতেই জয়ী হন এরশাদ।
নির্বাচনের পর রাজধানীর আসনটি রেখে রংপুর ও কুড়িগ্রাম ছেড়ে দেন। ’৯১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হলে এরশাদের নামে মোট ৪০টি মামলা দায়ের হয়। মহাজোটে থাকলেও যেকোন মুহুর্তে তা ছাড়বেন বলে ঘোষণা দিয়ে আসছেন তিনি।
মার্চ ২০, ২০১৩