জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০০৩’ প্রকাশিত হলো। বৈশ্বিক মানব উন্নয়ন সূচকে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে বিশ্বের ১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম।আগের বছর অবস্থান ছিল ১৪৭তম। দ্রুততম সময়ে উন্নতি করা বিশ্বের ১৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। নিঃসন্দেহে দারুণ স্বস্তিকর ও গর্বের। ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন ট্যামেসিস জানান, এইচডিআইয়ের ক্রমবৃদ্ধি দিয়ে মাপলে বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতি সত্যিই ব্যতিক্রমী। ১৯৮০ সালের ভিত্তিমানে ৬৫ শতাংশ বেড়েছে।
মানব উন্নয়ন নির্ধারণ সূচির তিন উপাদান—আয়ুষ্কাল, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতে নানা উন্নয়ন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। বাড়ছে স্বাস্থ্যসচেতনতা। কমছে শিশুমৃত্যুর হার। শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে, প্রসার বাড়ছে। উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে এবং সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে নানা কল্যাণমূলক পদক্ষেপ। পাসের হার বাড়ছে। পাশাপাশি প্রয়োজন মেধার মানটা ধরে রাখা।
দক্ষিণ এশিয়ার মানব উন্নয়নে সবচেয়ে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ৯২তম এবং উচ্চপর্যায়ভুক্ত। অপরদিকে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এখনো নিম্নপর্যায়ভুক্ত হলেও দেশটির অগ্রগতি নিম্নপর্যায়ের গড় প্রবণতার চেয়ে বেশি। আমাদের দেশে প্রতিটি উৎপাদনশীল খাতে ব্যাপক উন্নয়নের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। প্রয়োজন শুধু মেধা ও সৃজনশীলতার একত্রীকরণ এবং তার বহিঃপ্রকাশ।
এ দেশে এখনো অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। যার কারণে নিম্নশ্রেণীর মানুষেরা মানবেতর জীবনযাপন করে। আর দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে প্রয়োজন অর্থনৈতিক দ্রুত অগ্রগতি। বাংলাদেশে বিভিন্ন শিল্পগুলো অর্থনীতিতে বিরাট ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যাহত হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, যা কখনোই কাম্য নয়।প্রয়োজন সর্বক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখার অনুকূল পথ।
সঞ্জয় কুমার ভৌমিক
বসুন্ধরা আ/এ, শ্রীমঙ্গল।
নিয়োগ
আমি একজন শিক্ষিত বেকার যুবক। শিক্ষাজীবন শেষ করে বেকার জীবন কাটাচ্ছি। ২০১০ সালের রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমি আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করার মাধ্যমে আবেদন করি। পরবর্তী সময়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ লাভ করে। কিন্তু পদ খালি নেই এই অজুহাতে সারা দেশে আমরা কিছুসংখ্যক প্রার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার এক বছর পরও নিয়োগ পাইনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ২০০ রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। এতে রেজিস্টার্ড স্কুলে অধিকসংখ্যক শূন্য পদের সৃষ্টি হয়। জাতীয়করণ করার প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও নিয়োগ না পেয়ে হতাশ জীবন কাটাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি শিক্ষামন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মোহাম্মদ আইউব আলী, ফেনী।
২০ মার্চ/২০১৩/নিউজরুম.