স্পোর্টস ডেস্ক ১০ বছরের বহিষ্কারাদেশই শুনতে হলো নাদির শাহকে। তবে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরেক আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। বিসিবি কাল আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে এ সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত কার্যকরও ধরা হবে কাল থেকেই।
ভারতীয় টেলিভিশন ইন্ডিয়া টিভির ছদ্মবেশী সাংবাদিকদের গোপন ক্যামেরার সামনে অর্থের বিনিময়ে স্পট ফিক্সিং করতে রাজি হয়েছিলেন আম্পায়ার নাদির শাহ।বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং বিসিবি সম্পর্কেও করেছেন অনেক নেতিবাচক মন্তব্য। ১০ বছরের বহিষ্কারাদেশ এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতেই। কাল বোর্ড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস জানালেন, ‘আগামী ১০ বছর আম্পায়ার নাদির শাহর সঙ্গে বিসিবির কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিসিবির আওতাধীন কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।’ ইন্ডিয়া টিভির আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিটি নাদিরকে ১০ বছরের বহিষ্কাদেশ দেওয়ার সুপারিশই করেছিল বলে জানান তিনি।পরে বোর্ড সভায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
বিসিবির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিসিও। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘একজন আম্পায়ারের বিপক্ষে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে এবং সেটা প্রমাণিতও হয়েছে। এতে আইসিসির আনন্দিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে আইসিসি এবং এর সদস্যরা যে খেলাটাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এই সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন।’
কিন্তু শাস্তির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না নাদির শাহ। শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসা অভিজ্ঞ এই আম্পায়ার কাল টেলিফোনে আবারও বললেন, ‘বিসিবির এই সিদ্ধান্ত ভুল। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও মিথ্যা। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’ ১০ বছরের বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আপিলও করবেন তিনি, ‘আমি অবশ্যই আপিল করব। আপিল তো করতেই হবে। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এটা করব।’
বাংলাদেশের নাদির আর শরফুদ্দৌলাই শুধু নন, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের কয়েকজন আম্পায়ারকেও একই ফাঁদে ফেলেছিল ইন্ডিয়া টিভি। এঁদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলাই রাজি হননি অনৈতিক প্রস্তাবে, আর তাই জাতীয় দলের সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনারকে শাস্তির মুখোমুখিও হতে হচ্ছে না। ‘সৈকতকে (শরফুদ্দৌলা) অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে তিনি বিসিবির আওতাধীন যেকোনো দায়িত্ব পালন এবং ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন’—জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির প্রধান।
(১৯ মার্চ): নিউজরুম