নয়াপল্টন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদল দমনে হিংস্র হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে আয়োজিত হরতালের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার কারণে ব্রিফিংয় দেরি করায় দু:খপ্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
সাধারণ মানুষের রক্তে এই সরকারের হাত রঞ্জিত বলে অভিযোগ করে আওয়ামী সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেও দাবি করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনায় শেখ হাসিনার যা বলেছেন, তার জবাবে ফখরুল বলেন, ‘‘জাতির জন্য নতুন কিছু দিতে পারেন নি। দেশ ও জাতিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছেন। খালেদা জিয়াকে বলেছেন রক্তপিপাসু। এই ভাষা কেউ তার মুখে আশা করেন না। নতুন প্রজন্ম এই ভাষা শুনতে চায় না। তার মুখে এমন কথা মানায় না। তিনি চট্রগামে বলেছিলেন- একটি লাশের পরিবর্তে ১০টি লাশ এনে দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া কোথাও কোনো মুচলেকা দেননি। কিন্তু এ পর্যন্ত এ সরকার অনেক চুক্তি করেছে। দেশের মানুষ জানতে চায়, এসব কিসের চুক্তি। কী ছিলো সেই চুক্তিগুলোতে।”
ফখরুল বলেন, “পিলখানার তদন্ত প্রতিবেদন আমরা জানতে চাই, বিডিআর বিচারের বিস্তারিত জানতে চাই।”
তিনি বলেন, “আমরা এদেশের স্বাধীণতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচনে তা আসতে পারে বলেই আমাদের সংগ্রাম চলছে। এই স্বৈরাচারী জালিম সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।”
হানিফের সংলাপ বিষয়ক বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘কীসের সংলাপ? কোনো কিছুই প্রস্তাব আমরা পাইনি তো। এটি বায়বীয়।’’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পূর্বঘোষণা অনুযায়ী হরতাল ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় শেষ হবে।”
কার্যালয় থেকে আটক নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “১৮ দলের উদ্যোগে ১৮ মার্চের সারাদিন রাত ও ১৯ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালকে কেন্দ্র করে নির্যাতন, আটক ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।”
এ সময় আরো ছিলেন- বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ।
মার্চ ১৮, ২০১৩