ঢাকা: ঢাকার কলতা বাজারে দুইমাস রিকশা চালিয়ে খেয়েছেন। টাকার অভাবে হোটেলে না থেকে বাহাদুর শাহ পার্কে রাত কাটিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান ‘বঙ্গবীর’ খ্যাত কাদের সিদ্দিকী, বীরউত্তম।
সোমবার ঢাকার সিএমএম আদালতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পক্ষে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার শুনানিতে কথাগুলো বলছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
এ সময় আদালতে কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী, দলের লোকজন ও প্রায় ৪০/৫০ জন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “সত্যি কথা, আমি বেশিদূর লেখাপড়া করতে পারিনি। কোর্টের পাশে কলতাবাজার নামক একটি জায়গা আছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে সেখানে আমি দুই মাস রিকশা চালিয়ে খেয়েছি।”
তিনি বলেন, “এখানে বাহাদুর শাহ পার্ক আছে। আমার বড়ভাই যখন পাকিস্তানের সময় ডিটেনশনে ছিলেন, তখন হাইকোর্টে রিট করার জন্য শাহ মোয়াজ্জেমের বাড়িতে এসেছিলাম। আমার সাথে হোটেলে থাকার পয়সা ছিলনা। ঢাকায় থাকার জায়গা ছিলনা। সে সময় আমি বাহাদুর শাহ পার্কে শুয়ে সারারাত কাটিয়ে ছিলাম। সেই মানুষ আমি কোর্টে আপনার কাছে এসেছি। এদেশে আমি যথেষ্ট অত্যাচারিত হয়েছি।”
তিনি বলেন, “যখন কোটি কোটি মানুষ ‘রাজাকারের ফাঁসি চাই’ বলছে, তখন আমি সুনির্দিষ্ট গেজেটভুক্ত একজন রাজাকারের নাম বলার কারণে আমাকে আপনার কোর্টে আসতে হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির ৭/৮-এ ফ্রি স্কুল স্ট্রিট হাতিরপুলের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণমূলক সংগঠন ন্যাশনাল এফ.এফ. ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মজুমদার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পক্ষে ঢাকার সিএমএম আদালতে কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৮ এপ্রিল কাদের সিদ্দিকীকে সশরীরে আদালতে তলব করেন।
সোমবার মামলায় আদালতে আদালতে হাজিরা দিতে এসে শুনানির সময় তিনি এ কথা বলেন।
মার্চ ১৮, ২০১৩