ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থনে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে সমাবেশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সমাবেশের পর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছে একটি স্মারকলিপিও পাঠানো হয়।
ঢাকা থেকে এই সমাবেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। এর জন্য টেলিফোনে প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। পাশাপাশি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে প্রবাসীদের এই সমাবেশ শুরু হয়। এসময় তারা সমস্বরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সব ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। শপথ বাক্য পাঠ করান প্রবাসী তরুণ সাইমন হোসেন।
সমাবেশ চলাকালে ইমরান এইচ সরকারের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সের সমন্বয় করেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. নূরুন্নবী।
এসময় যুক্তরাষ্ট্র গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক শিতাংশু গুহ, মিঠুন আহমেদ, জাকারিয়া চৌধুরী, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, আকবর হায়দার কিরণ, এম এ সালাম, মহিউদ্দিন দেওয়ান, এন আমিন, মিসবাহ আহমেদ, রতন বড়ুয়া ও যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নূরনবী কমান্ডার তার পাশে ছিলেন।
বোস্টন, কানেটিকাট, পেনসিলভানিয়া, নিউজার্সি, ডেলওয়ার, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড, আটলান্টিক সিটি ও নিউ ইয়র্ক থেকে প্রবাসীরা বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে সমাবেশে যোগ দেন। তাদের অনেকের মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা ছিল।
‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করো’ ‘হিন্দুরা টার্গেট কেন, জামায়াত-বিএনপি জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে সমাবেশস্থল সরগরম করে রাখেন সমাবেতরা।
সমাবেশে অংশ নেন নিউ ইয়র্ক জাগরণ মঞ্চ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ইউএসএ কমিটি, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, প্রজন্ম একাত্তর, নিউইয়র্ক যুব কমিটি, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখা, নিউ ইংল্যান্ড শাখা, বাঙালির চেতনামঞ্চ, উদীচী, বিপা, বাংলাদেশ পূজা সমিতি, জ্যামাইকা মহামায়া মন্দির, বাংলাদেশ হিন্দু মন্দির, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, কানেটিকাট হিন্দু কমিউনিটি, বাংলাদেশ-৭১, সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি, ব্রুকলিন গৌর নিতাই মন্দির, ব্রঙ্কস পূজা কমিটি, ব্রঙ্কস সনাতন পূজা কমিটি, আটলান্টিক সিটি সৎসঙ্গ, সঙ্গীত পরিষদ, শিল্পকলা একাডেমি, বস্টনের জাগরণ মঞ্চ শিল্পীদল, বহ্নিশিখা সংগীত নিকেতন, শব্দ রিসাইটেশন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা।
মার্চ ১৭, ২০১৩