ঢাকা: ধর্মান্ধ রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গমাতা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ধর্মান্ধ নয়, ধর্ম বিশ্বাসী এবং ধর্মভীরু। যারা দেশের মানুষকে ধর্মান্ধের রাজনীতির দিকে নিয়ে যেত চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।”
দীপু মনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর চেতনা ছিল, অসম্প্রদায়িক সমাজ ও দেশ গঠন। যারা আজ অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে চিরদিনের জন্য বিচারহীনতা দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’’
শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেই বিচ্যূত হওয়া যাবে না, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা দিয়ে দেশের অগ্রগতির বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে দীপু মনি বলেন, “তিনি এদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে চিন্তা করতেন। জীবোদ্দশায় বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সত্যিকারের নেতৃত্বের পরিচয় ফুটিয়ে তুলেছেন। কিন্তু ঘাতকরা স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে সপরিবারে হত্যা করে দেশের ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, “একজন কৃষক যেমন জানেন, কোন সময় কোন ফসল লাগালে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের মননের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাদের অধিকার আদায়ে শেকড় থেকে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।”
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত করতে সহায়ক বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বঙ্গমাতা পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, শাহনাজ পারভিন, সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা প্রমুখ।
মার্চ ১৭, ২০১৩