মাগুরায় আর্থিক লাভজনক হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ল্যমাত্রার তুলনায় বেশি জমিতে তুলাচাষ করেছেন জেলার কৃষকেরা।জেলা তুলা উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে জেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে তুলাচাষ হয়েছে। আবহাওয়া তুলাচাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় জেলায় এ বছর তুলার ফলন ভালো পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড। চলতি মওসুমে জেলায় ৮০০ টন তুলা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তারা। গত বছর জেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে তুলাচাষ হয়েছিল। এ বছর ১০০ হেক্টর বেশি জমিতে তুলাচাষ হয়েছে।জানা গেছে, গত বছর তুলাচাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় এ বছর তারা অধিক জমিতে তুলাচাষ করেছেন।শ্রীপুর উপজেলা টুপিপাড়া গ্রামের কৃষক মিটুল হোসেন বলেন, গত বছর তিনি এক একর জমিতে তুলাচাষ করে ২৫ মণ তুলা পেয়েছিলেন, যা থেকে তার আয় হয়েছিল প্রায় ৫৭ হাজার টাকা। আর্থিক লাভবান হওয়ায় তিনি এ বছর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় দেড় একর জমিতে তুলাচাষ করেছেন, যা থেকে তিনি সাড়ে ৩৭ মণ তুলা পাবেন বলে আশা করছেন।
একই গ্রামের কৃষক আবদুল হান্নান মিয়া এ বছর এক একর জমিতে তুলাচাষ করেছেন, যা থেকে তিনি ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি তুলা বিক্রি করে আর্থিক লাভবান হওয়ার আশা করছেন।
কৃষকেরা আরো বলেন, তুলাচাষ সফল করার জন্য তাদের সহযোগিতা করছে জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড। বীজ থেকে শুরু করে মাঠ থেকে কৃষকের ঘরে তোলা পর্যন্ত এ সহযোগিতা করছেন জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। প্রতি মণ তুলা কৃষকের কাছ থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকা দরে কিনবে তুলা উন্নয়ন অফিস।
জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মৃধা জানান, তুলা উৎপাদনের জন্য কৃষকের জমি তৈরি, বীজ রোপণ থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে মাগুরা থেকে তুলার ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।।
১৭ মার্চ, ২০১৩