স্বামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মিশেল ওবামা। তিনি শুধু একজন ফার্স্ট লেডি কিংবা সাধারণ কোনো গৃহিণীই নন, বরং বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি ওবামার একজন ঘরোয়া প্রশিক্ষকও বটে। সম্প্রতি প্রভাবশালী সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ-এর একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য ফুটে উঠেছে।
ফার্স্ট লেডি মিশেল ঘরোয়া প্রশিক্ষণকাজে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে নিজের কাপড়চোপড় গোছানো থেকে শুরু করে নিয়মিত পারিবারিক নৈশভোজের টেবিলে হাজির হওয়া, এমনকি ২০ বছরের পুরোনো পোশাক বদলে নতুন জামা কেনার ব্যাপারেও তালিম দিয়ে থাকেন।
মিশেলের প্রশিক্ষণ-গুণ নিয়ে স্ত্রীর পাশে বসে ফ্যাশন সাময়িকী ভোগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, ‘মিশেল যে কাজটি করে সেটি হলো, আমাকে সে প্রতিদিন সদ্গুণাবলি স্মরণ করিয়ে দেয়। যেমন, সে আমাকে বলে সময়নিষ্ঠ হও, জায়গামতো কাপড় ঝুলিয়ে রাখো, বাচ্চাদের সময় দিতে পরিকল্পনা করো ইত্যাদি।’
সামাজিক কাজকর্মে নিজেকে যথেষ্ট পরিমাণে সম্পৃক্ত না করা নিয়ে ওয়াশিংটনে ওবামার বিরুদ্ধে প্রচলিত সমালোচনা একেবারে কম নয়। তবে এর জন্য ওবামা দম্পতি বলেন, হোয়াইট হাউসের ব্যস্ততাও কাজের চাপে যতটুকু অবসর জোটে, সেই সময়টুকু তাঁরা মেয়ে মালিয়া (১৪) ও শাসার (১১) সঙ্গে কাটানোই বেশি পছন্দ করেন।
মিশেল বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে—এটি নিশ্চিত করাই আমাদের সর্বপ্রথম কাজ। আপনারা জানেন, আমাদের ছোট দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁরা প্রতিদিন বেড়ে উঠছে। আমি মনে করি, পরিবারের প্রশ্নে আমরা সব সময়ই অনমনীয়।’
এদিকে মিশেলের প্রশিক্ষণে ওবামা এখন পরিবারের প্রতি অনেকটাই সচেতন। তাই তো ওবামা তাঁর ভ্যালেন্টাইনস ডের নৈশভোজও স্ত্রী মিশেল আর দুই মেয়েকে নিয়ে হোয়াইট হাউসেই সেরে থাকেন। মিশেল-ওবামা দম্পতির কথায়, তাঁদের নৈশভোজ দেখলে কেউ বুঝবেই না যে, অন্য কোনো পরিবারের সঙ্গে তাঁদের নৈশভোজের পার্থক্য আছে। দ্য টেলিগ্রাফ।
১৬ মার্চ, ২০১৩,