বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই হাজার নারীর মধ্যে চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি চারজন নারীর মধ্যে একজন মাসে অন্তত একবার ফেসবুক তথ্য অতিরঞ্জিত করেনবা মিথ্যার আশ্রয় নেন। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ অনলাইন।
এপ্রসঙ্গে মনস্তাত্ত্বিকেরা জানিয়েছেন, জীবনকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলতেইফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যা কথাবলেন নারীরা। যুক্তরাজ্যের বাজার গবেষণা ও অনলাইন জরিপকারী প্রতিষ্ঠানওয়ানপোলের করা জরিপে দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ নারী ফেসবুক বা টুইটারের মতোসামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে একটা পর্যায়ে গিয়ে আর ‘সত্’ থাকেন না বলেইস্বীকার করেছেন। ৩০ শতাংশ বাড়িতে বসে থাকলেও কাজ করার কথা লেখেন বলেজানিয়েছেন। পাঁচজনের একজন জানিয়েছেন, তিনি তাঁর সম্পর্কের বিষয়টির ক্ষেত্রেমিথ্যা তথ্য দেন।
জরিপে অংশ নেওয়া নারীদের অধিকাংশই মত দিয়েছেন, তাঁরাফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে এমনভাবে ভান করে পোস্ট দেন যে, তিনিএই মুহূর্তে কোথাও বেড়াতে গেছেন, অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, ওই সময় একা বাড়িতেবসে তিনি বিরক্ত।
মনস্তত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগেরওয়েবসাইটে এভাবে ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য লেখার কারণ হতে পারে বিরক্তি, অপরেররোমাঞ্চকর মন্তব্য দেখে হিংসা বা বন্ধু ও সহকর্মীদের খুশি করার চেষ্টা করা।
গবেষকেরাসতর্ক করে জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগের ফলে মানুষ কাছে আসার বদলেপরস্পরের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের মনস্তত্ত্ববিষয়ক পরামর্শকমাইকেল সিনক্লেয়ার বলেন, ‘আমরা অনলাইনের দুনিয়ায় নিজেদের জাহির করতে কঠোরপরিশ্রম করি। আমরা খুশি হওয়ার ভান করতে চেষ্টা চালিয়ে যাই, যা কখনোই পূর্ণহয় না।
১৫ মার্চ/নিউজরুম