বিনোদন ডেস্ক: মাহফুজ আহমেদ। অভিনয়ের শুরু হুমায়ূন আহমেদের কোথাও কেউ নেই নাটকটি দিয়ে।পরিচালনা করছেন নাটক ও টেলিছবি। সম্প্রতি বিচারক হয়েছেন চ্যানেল আইয়েররিয়েলিটি শো ‘হ্যান্ডসাম-দি আলটিমেট ম্যান’ অনুষ্ঠানের।
পর্দায় আর কত দিন নিজেকে নায়ক হিসেবে দেখতে চান?
প্রথমত, আমি নায়ক নই। আমি অভিনেতা। কেউ যদি ভালোবেসে নায়ক ডাকে, তাতে অনেক খুশিহই। যত দিন অভিনয় করে আনন্দ পাই এবং যত দিন দর্শক ভালোবাসবে, তত দিন অভিনয়করে যেতে চাই।
নতুন অভিনয়শিল্পীদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
নতুনঅভিনয়শিল্পীরা অনেক মেধাবী। কিন্তু তাঁরা অভিনয়ে সবচেয়ে বেশি অমনোযোগী। একারণে মেধা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা বেশিদূর এগোতে পারেন না। একজন অভিনয়শিল্পীরঅভিনয়টাই প্রধান ভাবনার বিষয় হওয়া উচিত।
আপনার দুটি গুণ ও দোষের কথা বলুন, যা কেউ জানে না…
আমারযেটি গুণ, সেটিই আবার দোষ। যেমন, খুব কঠিন পরিস্থিতিতে আমি ধৈর্যশীল হতেপারি, আবার খুব সামান্যতে রেগেও যাই। মানুষের আবেগ আমাকে আক্রান্ত করে।আবার এই মানুষেরই মিথ্যা আবেগে আমি প্রতারিত হই।
আপনার প্রিয় ঋতু, প্রিয় রং ও প্রিয় খাবার কী?
প্রিয়ঋতু বর্ষা। কারণ, বৃষ্টির শব্দ আমাকে মুগ্ধ করে। বৃষ্টি আমাকে বিচলিত করে।বৃষ্টি আমাকে ভাবায়। বৃষ্টি আমাকে আনমনা করে। প্রিয় রং সাদা, কালো, নীলএবং প্রিয় খাবার ইলিশ মাছ।
ক্যামেরার পেছনে, না সামনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
ক্যামেরারপেছনের কাজে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। প্রতিটি অভিনয়শিল্পীহাসছেন, কাঁদছেন দেখে মনে হয় আমি নিজেই হাসছি-কাঁদছি। আমার কাছে মনে হয়, একজন পরিচালক নাটকের সব চরিত্রে অভিনয় করেন।
এ মুহূর্তে যে কাজটি নিয়ে আপনি সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত…
মাগোতোমার জন্য ধারাবাহিকটির কাজ নিয়ে। প্রবাসী নারী-পুরুষ শ্রমিকদেরহাসি-আনন্দ, দুঃখ-বেদনার গল্পই হচ্ছে মাগো তোমার জন্য নাটকটি। যেসব প্রবাসীশ্রমিকের আয়ে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘোরে তাঁরাই এ নাটকের প্রাণ।
১৫ মার্চ/নিউজরুম