ডেস্ক রিপোর্ট:সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শি¶কদের বেতন বন্ধ রয়েছে। একটানা তিনমাস বেতন না পেয়ে শিক্ষকরা আর্থিক সংকটে পড়েছে। তারপরও কাগজপত্র ঠিকঠাক করার নামে তাদের কে চাঁদা দিতে হচ্ছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলায় ৮১টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শি¶ক রয়েছেন প্রায় ৩২৪ জন। প্রতিমাসে তারা নিয়মিত বেতন পেয়ে আসছিল। সরকার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করণের ঘোষনা দিলে এ উপজেলার ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের তালিকা প্রাথমিক ও গণশি¶া অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী তাড়াশ উপজেলার প্রাথমিক শি¶া অফিস বিদ্যালয়গুলোর ও শি¶কদের ১১ টি বিষয়ে যোগ্যতা যাচাই বাছাই করে জেলা প্রাথমিক শি¶া অফিসে চুড়াš— কাগজপত্র পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শি¶করা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শি¶কদের বেতনের স্কেল অনুযায়ী তাদের বেতন পাওয়ার কথা। এর আগে শি¶কদের প্রতি মাসে যে বেতন আসতো তা গত ডিসে¤^র মাস থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ডিসে¤^র মাস থেকে মার্চ মাস পর্যš— বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শি¶করা বেতন পাচ্ছেন না। অনেক শি¶ক বাধ্য হয়ে ধার-দেনা ও ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন এবং মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এদিকে বিদ্যালয়গুলো জাতীয় করণের অজুহাতে কাগজ পত্র ঠিকঠাক করার নামে একটি সিন্ডিকেট চক্র প্রতি বিদ্যালয় থেকে জোর পূর্বক ১৫’শ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে শিক্ষা অফিসের কথা বলে। এ তথ্য নাম প্রকাশ না করা সর্তে একাধিক বিদ্যালয়ের শি¶ক জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শি¶া কর্মকর্তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
১৪ মার্চ, ২০১৩