ঢাকা: সরকার ও বিরোধীদলীয় দুই নেত্রীকে পরস্পরবিরোধী অবস্থান থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে তাঁরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ কার্যালয়ে বসতে পারেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘জেন্ডার এজেন্ডা: আধুনিক উন্নয়নশীল বিশ্বে জেন্ডার সমতা প্রয়োজন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. মিজানুর রহমান বলেন, “সরকার পক্ষ যখন বলছে কোনো ধরনের শর্ত ছাড়া তারা আলোচনায় বসতে চায় এবং বিরোধীদলও আলোচনায় বসতে চায়- যদি কোনো আলোচনার বিষয় না থাকে, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরান্বিত করতেও আলোচনা হতে পারে। সে আলোচনায় এমন কোনো বিষয় উঠে আসবে না যার উত্তর আমরা খুঁজে পাব না।”
দেশে চলমান সহিংসতা প্রসঙ্গে ড. মিজানুর রহমান বলেন, “যে মাসে অধিকার এবং স্বাধীনতার কথা বলার কথা, সে মাসে একটি অপশক্তি নারী ও শিশুদের সহিংসতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সহজে বলা যায় নারী ও শিশুর ওপর পাখির মতো গুলি চালানো হয়েছে।”
এসময় নারী এবং শিশুদের সহিংসতা ঠেলে দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মানবাধিকার কমিশন প্রসঙ্গে ড. মিজানুর রহমান বলেন, “আমরাও ভালো নেই। হাসপাতালে চিকিৎসকদের করুণ অবস্থা। বিনামূল্যে বিতরণের ওষুধ বিক্রির চিত্র তুলে ধরায় চিকৎসকরাও আমদের শত্রু হয়ে গেছে।”
রাজনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে ড. মিজানুর রহমান বলেন, “দেশ একটি নষ্ট রাজনীতির ভেতরে ডুবে গেছে। ধর্মীয় অধিকারের অর্থ- সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম পালন করবে। অথচ একটি শ্রেণী ধর্মীয় উন্মাদনাকে ব্যবহার করছে।”
ধর্মীয় উন্মাদনাকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য এই শ্রেণীকে আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ, ক্যাম্পেইং ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), সেন্টার ফর গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ (সিজিসি) এবং অক্সফাম যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মেহের আফরোজ চুমকি এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা আখতার।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সিএসআরএল কর্মকর্তা সারমিন্দ নীলোর্মি, অক্সফাম ক্যাম্পেইং কো-অরডিনেটর জাকিয়া হক প্রমুখ।
মার্চ ১৪, ২০১৩