যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মানুষ

0
137
Print Friendly, PDF & Email

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: আর্জেন্টিনা নয়, যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার মানুষ হিসেবেই থাকতে চায় ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মানুষএ নিয়ে দুই দিনের গণভোটের ফলাফলে তা সুস্পষ্টফকল্যান্ডের প্রায় শতভাগ মানুষ যুক্তরাজ্যের অধীনে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেআজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়
ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাজ্যের মধ্যেদুই দেশই এই ভূখণ্ডটিকে নিজের বলে দাবি করে আসছেকিন্তু ফকল্যান্ডের মানুষ কী বলে? কোন দেশের অধীনে থাকতে চায় তারা?
ব্যাপারে তাদের মতামত জানতে গত ১০ ও ১১ মার্চ ফকল্যান্ডে দুইদিনব্যাপী গণভোটের আয়োজন করা হয়এর ফলাফলে দেখা গেছে, স্থানীয় মানুষ তাদের দ্বীপপুঞ্জ যুক্তরাজ্যের অংশ হিসেবেই দেখতে চায়ফকল্যান্ডের ৯০ শতাংশ মানুষ অংশ নিয়েছিল এই গণভোটেএক হাজার ৫১৭ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৫১৩ জন ভোট দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অধীনে থাকার পক্ষেআর্জেন্টিনার পক্ষে গেছে মাত্র তিনটি ভোট
ফকল্যান্ড দ্বীপবাসীদের এই রায় মেনে নেওয়ার জন্য বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সরকারফকল্যান্ডের আইনসভার সদস্য ডিক সোয়েল বলেন, ‘গণভোটের এই ফলাফল বিশ্বকে জোরালো এই বার্তা দিয়েছে যে, নিজেদের ভালোমন্দ নির্ধারণের অধিকার ফকল্যান্ড দ্বীপবাসীর আছেএর জন্য ১৯৮২ সালে একটা লড়াইও হয়েছিলআর আজ আমরা সেই অধিকারটাকেই সম্মান জানিয়েছিআমি দ্বীপবাসীর সাফল্য কামনা করি
ডিক সোয়েল বলেন, ‘দ্বীপবাসী স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তারা যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা হিসেবে এইসব অধিকার নিয়ে থাকতে চায়সরকার হিসেবে এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, এই বার্তা সারা দুনিয়ায় পৌঁছে দেওয়া
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘ফকল্যান্ডবাসী ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেবে, নিজেদের ভবিষ্যত্ কীভাবে সাজাবে, তা ঠিক করার অধিকার তাদের বলেই আমরা বিশ্বাস করিএকবিংশ শতাব্দীতে এখন সবার সেই অধিকারকে সম্মান জানানো উচিতএই গণভোটের ফলাফল সব দেশের মেনে নেওয়া উচিত
এদিকে. আর্জেন্টিনা এখনো মনে করে, এই ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা তাদেরইআর্জেন্টিনার সরকারও দীর্ঘদিন ধরে ওই অঞ্চলের ওপর নিজ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছেএই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১৯৮২ সালে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয় আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাজ্যের মধ্যেদুই মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে ২৫৫ জন ব্রিটিশ ও ৬৫০ জন আর্জেন্টাইন সেনা নিহত হয়

 

১২ মার্চ/নিউজরুম

 

শেয়ার করুন