১২ মার্চ, ২০১৩,
ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কুশন বেশ জনপ্রিয়। কুশন আরামের উপকরণ হিসেবেও চমৎকার। কিছুদিন আগেও শুধু সোফা বা ঘর সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হতো কুশন।এখন বেডরুম, ড্রয়িংরুম, লিভিংরুম এমনকি ছোট বারান্দা সাজাতেও ব্যবহার করা হচ্ছে কুশন।
বিভিন্ন ধরনের কুশনের মধ্যে গোলাকার, চারকোনা, ত্রিকোণ, তারকা ও হূদয়াকৃতির কুশন প্রচলিত ছিল। বর্তমানে টুইটি পাখি, মাছ, কুকুর—এককথায় প্রাণী আকৃতির কুশনও ব্যবহার করা হচ্ছে সমানতালে। আর কুশনকভারে রয়েছে ব্লক প্রিন্ট, বাটিক, স্ক্রিন প্রিন্ট টাইডাই, হ্যান্ডপেইন্ট ও অ্যাপলিকের নানা নকশা।
ঘর সাজাতে কোথায় কেমন কুশন ব্যবহার করা যেতে পারে, এ বিষয়ে এথনিকার পরিচালক নাসিরা মানসুরের পরামর্শ হলো, মৌসুমি রংগুলো প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে। যেমন এই বসন্তে ফুলের ছাপার কুশন বেশি চলছে। তবে সাজানোর ক্ষেত্র, যেমন সোফার কভার ছাপার হলে একরঙা কুশন ভালো লাগবে।
আবার সোফা এক রঙের হলে ছাপার কুশনে সাজাতে হবে।সে ক্ষেত্রে পাশেই যদি খাবার টেবিল থাকে, তাহলে টেবিল ক্লথের সঙ্গেই মিলিয়ে নিন কুশনের রং।
অনেক কুশন একসঙ্গে রাখলে হালকা ছাপার কুশন দিয়ে মাঝে মাঝে রাখুন ভারী ছাপার কুশন। ভিন্নতা রাখুন আকৃতিতেও। খাট বা মেঝের গদিতে কুশন সাজাতে জানালার পর্দার রঙের সঙ্গে আনতে পারেন সামঞ্জস্য। বাসায় কোনো অনুষ্ঠান বা পার্টি থাকলে তার ধরন অনুযায়ী কুশনের রং বা থিম বদলে নিতে পারেন। ঘরের অন্দরসাজ চাকচিক্যময় করতে চাইলে কুশনের কাপড়টি কাতান কিংবা সিল্কের মধ্যে থেকে বেছে নিতে পারেন।
আপনি হয়তো খুব ভালো ডিজাইন করতে পারেন অথবা ঘরসজ্জায় স্বতন্ত্র থাকতে চান। তাহলে কুশন তৈরির উপকরণ কোথায় কেমন জেনে নিন।
চলে আসতে পারেন ঢাকার নিউমার্কেটে। কিনে নিতে পারেন থান কাপড়। নিউ সুপার মার্কেটে (দক্ষিণ) নিচতলা থেকে কিনতে পারবেন ফোম এবং ফাইবার। একই মার্কেটের তৃতীয় তলার কয়েকটি দোকানে কুশনকাভারে ব্লক প্রিন্ট বা এমব্রয়ডারি করাতে পারবেন। করাতে পারবেন কুশন সেলাই।
আকার ও নকশা কেমন হবে, তা প্রথমে ঠিক করে নিন। সে অনুযায়ী কিনে নিন থান কাপড়। প্রতি গজ কাতান কাপড়ের মূল্য ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা। স্ক্রিন প্রিন্ট ৮০ থেকে ১২০ টাকা। সুতি ৬০ থেকে ৩৫০ টাকা।
ফোম ও ফাইবারের দাম পড়বে ২০০ থেকে ৮০০ টাকা। ব্লক প্রিন্ট বা এমব্রয়ডারির খরচ পড়বে ৬০ থেকে ২০০ টাকা। কুশন সেলাই খরচ পড়বে ৫০ টাকা।
কোথায় কেমন কুশন
ঢাকার গুলশানে এথনিকায় পাবেন সুতি ও খাদি কাপড়ের কুশনকভার। ফরমাশ দিয়েও করিয়ে নিতে পারেন। দাম পড়বে ৩০০ টাকা।
হাতিরপুলের আইস কুলে পাওয়া যাবে চীন এবং থাইল্যান্ডে তৈরি বৈচিত্র্যময় কুশনকভার।দাম পড়বে ২২৫ থেকে চার হাজার টাকা। আড়ংয়ে বিভিন্ন ধরনের কুশনকভার মিলবে ৩০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। অঞ্জন’স ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে জামদানি মোটিফের কুশনকভার। দাম ১৫০ থেকে ৮৫০ টাকা। এ ছাড়া বসুন্ধরা সিটি, অরচার্ড পয়েন্ট ও বেইলি রোডের দোকানগুলোতে মিলবে বর্ণিল সব কুশনের সমাহার।পছন্দমতো বেছে নিন।