ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে উত্তর কোরিয়ার হামলা চালানোর হুমকি দেওয়ার উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে। ‘কি রিজলভ’ নামে পরিচিত একই মহড়া সোমবার শুরু হয়।
দু’সপ্তাহব্যাপী মহড়া অংশ নেবে ১০ হাজার কোরীয় সৈন্য এবং তিন হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা কর্মকর্তা। মহড়ায় নেতৃত্ব দেবে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্ট্যাফ।
দক্ষিণের সঙ্গে সবধরনে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা উত্তর কোরিয়া দেওয়ার পরেই এ মহড়া শুরু হলো।
তৃতীয় পরমাণু পরীক্ষা চালানোয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ উত্তর কোরিয়া।
গত ডিসেম্বরে সফলভাবে রকেট উৎক্ষেপন করে উত্তর কোরিয়া । গত মাসে তৃতীয় পরমাণু পরীক্ষা চালায় দেশটি। এর আগে ২০০৬ ও ২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়া পরীক্ষা চালিয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ভয় ফের পরমাণু যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেছে উত্তর কোরিযা।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বার্ষিক এ মহড়ার জোড়ালোভাবে নিন্দা জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।
মার্চের শুরু থেকে ফোল এগল নামে আরেকটি যৌথ মহড়া চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া। তাদের বার্ষিক মহড়া চলাকালে হুমকি-ধামকি প্রায়ই দেশ উত্তর কোরিয়া।
সীমান্তবর্তী পানমুজান গ্রামে দুই কোরিয়ার মধ্যে লিঁয়াজো কার্যালয়ের টেলিফোন লাইন কেটে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যুদ্ধবিরত সীমান্ত অঞ্চলের কাছে এবং কোরীয় উপদ্বীপে সতর্কতা জারি করেছে উত্তর কোরিয়া।
সোমবার সকালের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হট লাইনের মাধ্যমে উত্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ১৯৭১ সালে এ লাইন চালু করা হয়। এর আগে পাঁচবার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল সংযোগ।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিয়ুন-হাই সতর্ক করে বলেন, “কোরীয় উপদ্বীপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘খুবই উদ্বেগজনক’।
১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ করার পর শান্তি চুক্তি হয় দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার । কিন্তু তারপরেও দুই দেশের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।
২০১০ সালের নভেম্বরে সীমান্তবর্তী একটি দ্বীপে গোলার আঘাতে চার দক্ষিণ কোরীয় নিহত হওয়ার পর থেকে দুই দেশের স্নায়ুযুদ্ধের প্রকাশ পায়।
মার্চ ১১, ২০১৩