১১ মার্চ, ২০১৩,
সরকারের অনিয়ম-অবিচার বন্ধের দাবিতে হরতাল দেওয়া যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, তেমনি একজন সাধারণ মানুষ হরতাল মেনে অফিস, দোকান, স্কুল, কলেজ বাদ দিয়ে চুপচাপ বাসায় বসে থাকবে কি না, সেটাও তার গণতান্ত্রিক অধিকার। দিনের শেষে হরতালকারী বলছে, জনগণ হরতাল সফল করেছে। তাহলে যে লোকটিকে তারা বোমা মেরে আহত করল, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারল, সে কি জনগণের বাইরে অন্য কেউ?
হরতালে ব্যাংক, হাসপাতাল, ফার্মেসি, পত্রিকা অফিস, খাবারের হোটেলসহ অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সম্ভব হয় না, এ জন্য টুকটাক যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকে। সেসব যানে হরতালকারীদেরও নিশ্চয়ই কোনো আত্মীয়-পরিজন থাকতে পারে। অথচ পিকেটাররা চলন্ত গাড়িতে আচমকা এলোপাতাড়ি ইট-পাথর ছুড়ে আর লাঠিসোঁটা দিয়ে এমনভাবে যানবাহন ভাঙচুর করে, যেন সরকারের যাবতীয় ব্যর্থতার জন্য দায়ী গাড়িতে বসে থাকা যাত্রীরা।
দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই যদি হরতাল দেওয়া হয়; সরকারি বাস, ট্রেন, বিদ্যুৎ অফিস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে কি তা সম্ভব? এই সাধারণ হিসাবটা হরতালকারীরা কবে বুঝবেন?
রবিউল করিম
rabiulkarimbabu@yahoo.com
হরতাল বন্ধে আইন হোক
বর্তমানে বাংলাদেশের অস্থির রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ হলো হরতাল। আর হরতাল মানেই নৈরাজ্য, সহিংসতা, ভাঙচুর, লুটপাট, ধ্বংসযজ্ঞ আর হত্যাকাণ্ড। হরতালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের। খেটে খাওয়া আর সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় চরমে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে অর্থনীতির চাকা। পিছিয়ে পড়ে শিক্ষাব্যবস্থা।
গত কয়েক দিনের হরতালে প্রাণ গেছে ৬৭ জনের। ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে শত শত যানবাহন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ও মন্দির। বাদ যায়নি ভাষাশহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ মিনার। অবমাননা করা হয়েছে বাংলার সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা।
আমরা সাধারণ মানুষ আর দেখতে চাই না হরতালের নামে এসব ঘৃণ্য অপরাধ কর্মকাণ্ডের বীভৎস চিত্র। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যাশা, আইন করে হরতাল বন্ধ করা হোক।
নূর মোহাম্মদ
ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ, গাজীপুর।