উত্তরা গণজাগরণ: আনুষ্ঠানিক সমাবেশ শেষ। কিন্তু ফাঁসির দাবির স্লোগানে উত্তাল হয়ে উত্তরা।
বিকেলে ৪টা ২০ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় উত্তরার জাগরণ সমাবেশ। ব্লগার ও ছাত্র নেতাদের বক্তব্য চলে একটানা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এর পর আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু চলতে থাকে স্লোগান।
এর আগে রোববার দুপুরের প্রখর রোদ উপেক্ষা করে বিকেলে জনতার ঢল নামে উত্তরা গণজাগরণ সমাবেশে। কাণায় কাণায় পূর্ণ উত্তরা ১১ নম্বর চৌরাস্তা মোড়। জনতার স্রোত পূবে চৌরাস্তা, পশ্চিমে ১২ নম্বর সেক্টরের মূল সড়ক পর্যন্ত ভরে যায়।
এতে নারী পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব পেশার লোকজনকে অংশ নিতে দেখা গেছে। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের কারো মাথায় জাতীয় পতাকা মোড়ানো, কারো মাথায় ‘রাজাকারের ফাঁসি চাই’ লেখা হেডব্যান্ড, কারো হাতে জাতীয় পতাকা, আবার কারো কপালে ও মুখে লেখা ‘ফাঁসি চাই’ স্লোগান।
বিকেলে তুরাগ থানা নাগরিক হিতৈষী কমিটির একটি বিশাল মিছিল সমাবেশে যোগ দেয়। এ ছাড়া উত্তরখান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনও মিছিল নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত ছিল।
গত ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে উত্তরায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় প্রত্যাখ্যান করে ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে শুরু হয় গণজারণ।
রাজাকারদের ফাঁসি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
৬ দফা দাবিতে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের বাইরে এটি সপ্তম সমাবেশ।
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চে বেশ কয়েকটি সমাবেশ এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া মোমবাতি প্রজ্বলন, বেলুন ওড়ানো, পতাকা উত্তোলন, ৩ মিনিট নীরবতা পালনসহ বেশ কিছু সফল কর্মসূচি পালন করা হয় গণজাগরণ মঞ্চ থেকে।
এর প্রত্যেকটি কর্মসূচি হয়েছে জননন্দিত। প্রতিটি সৃষ্টি করেছে নতুন নতুন ইতিহাস।
গণজাগরণ মঞ্চ শাহবাগের বাইরে এর আগে ৬টি সমাবেশ করেছে। প্রথম পতাকা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে। দ্বিতীয় সমাবেশ মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে, এর পর যথাক্রমে মতিঝিল শাপলা চত্বর, বাহাদুরশাহ পার্ক, যাত্রাবাড়ী এবং সর্বশেষ ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মার্চ ১০, ২০১৩